যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পাল্টা জবাব নাকি ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার প্রতিক্রিয়া, ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইরান তাদের প্রতিরোধ অভিযান জোরদার করেছে এবং আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে হামলার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে তারা ‘২০তম দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ শুরু করেছে। কয়েক ঘণ্টা আগেই এ দফার হামলা শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়। এই হামলায় তারা ব্যবহার করছে নিজেদের তৈরি সর্বাধুনিক এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ‘খাইবার-শেকান’, যা দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম।
এই হামলা এমন এক সময় চালানো হলো, যখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও ইস্পাহানে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানে, যেটিকে ইরান আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন কূটনৈতিক আলোচনায় জড়িত থাকার দাবি করছে, তখনই তারা পেছন থেকে হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের হামলা শান্তিপূর্ণ আলোচনার ওপর সরাসরি আঘাত। তারা আরও জানায়, এসব আক্রমণ ইরানকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য করছে, আর সে প্রতিরোধ হবে সর্বশক্তি দিয়ে।
আরএইচ