যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের ‘ভয়াবহ ও নজিরবিহীন লঙ্ঘন’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই ধরনের ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ইরানের অধিকার।
ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিমে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববাসীকে ভুলে গেলে চলবে না, একটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাঝপথে যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম কূটনীতিকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে। তারা ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণকে সমর্থন করে এখন ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি এখন স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র কোনো নীতিমালা বা নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তারা একটি দখলদার ও গণহত্যাকারী শাসনকে সহায়তা করতে গিয়ে সব ধরনের বেআইনি কাজ ও অপরাধ করতে পিছপা হচ্ছে না। ’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলাকে নিজের অধিকার মনে করে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় ইরান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘সফলভাবে হামলা’ চালিয়েছে। পাল্টা হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘মনে রাখবেন, এখনো অনেক টার্গেট বাকি আছে। ’
অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলাকে ‘লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এমন হামলার চিরস্থায়ী পরিণতি হবে। ’
আরএইচ