ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু পার্টির শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা এখনো এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) স্টেলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করে ফোরদোসহ ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী।
হামলার পর নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফল হামলা চালিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে ফরদো, নাটানজ ও ইসফাহান। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে। ফরদোতে পুরোপুরি বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। আমাদের সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ফিরছে। আমাদের মহান আমেরিকান যোদ্ধাদের অভিনন্দন। পৃথিবীতে এমন আর কোনো সেনাবাহিনী নেই যারা এমন কাজ করতে পারত। এখন শান্তির সময়! এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ’
হামলার পর হোয়াইট হাউজ বিভিন্ন টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে জানিয়েছে, ট্রাম্প রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ট্রাম্পের উদ্ভট চিন্তাধারা ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যারা বরাবার কথা বলেছেন তারা এখন চুপ। ইরানের ট্রাম্পের হামলা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি ডেমোক্রেটদের শীর্ষস্থান থেকে আসেনি।
প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিজ ও সিনেটর চাক শুমার দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের প্রবল সমর্থক এবং ইরান বিষয়ে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত। বিরোধী পার্টির হলেও তারা এখনো মুখে কুলুপ এঁটে আছেন।
অবশ্য গত শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে হাকিম জেফরিজ বলেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে না। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে তিনি এটিও স্মরণ করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধ ঘোষণা করার একমাত্র সাংবিধানিক ক্ষমতা কংগ্রেসেরই রয়েছে।
এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থকদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার বিপক্ষে। মাত্র ১৫ শতাংশ এই ধরনের হস্তক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
অন্যদিকে, প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটদের কয়েকজন, যেমন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ এবং রো খন্না এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সংঘাত আরও তীব্র করে তোলার আশঙ্কা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এমজে