ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২, ০২ মে ২০২৫, ০৪ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

দ্বিতীয় দিনে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৮, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪
দ্বিতীয় দিনে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’

রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ দ্বিতীয় দিনে প্রবেশ করল। কাস্টম-মেইড ভলভো বাসে শুরু করা যাত্রায় যেসব জায়গায় নেতা কর্মীরা জড়ো হচ্ছেন সেখানে পায়ে হেঁটে অতিক্রম করছেন তিনি।

মণিপুর অতিক্রম করে আজ রাতে নাগাল্যান্ড পৌঁছাবে তার বাস।

যাত্রা পথে ভক্ত-সমর্থকরা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা তাকে অভিবাদন জানান। হাঁটার পথে স্থানীয়দের নানান সমস্যা এবং অভিযোগের কথা শুনছে তিনি। রাহুল এমন সময় এই অঞ্চলটি সফর করছে যখন জাতিগত সংঘর্ষে নিয়মিতই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চলেছে।   

এর আগে গতকাল রবিবার বিকেলে মণিপুরের কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পদযাত্রার উদ্বোধন করেন। যদিও মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে এই যাত্রা শুরু করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ এতে বাদ সাধেন।

এই কর্মসূচি শুরু করার সময় সেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাহুল গান্ধী বলেন, আগামী ৬৬ দিনে তিনি ৬ হাজার ৭১৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। প্রথমে এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল কেবল ‘ন্যায়যাত্রা’। পরে জনগণের আগ্রহের বিষয়টি মাথায় রেখে এর নাম রাখা হয় ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’। খবর এনডিটিভি

যাত্রার শুরুতে রাহুল গান্ধী বলেন, ভারতীয়রা যে ‘ব্যাপক অন্যায় আচরণের’ শিকার হচ্ছেন তার প্রতিবিধান হিসেবে শান্তি-সম্প্রীতি ও ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতেই ন্যায় যাত্রা।  

মণিপুরের সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, মণিপুরের জনগণের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে, তাদের ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে।

মণিপুর থেকে মুম্বাই পর্যন্ত ভারতের ১৫টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে এই ন্যায়যাত্রা আয়োজন করা হয়েছে। মণিপুরের পাশাপাশি নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, মেঘালয় ও আসাম সফর করবে এই যাত্রা। এরপর পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রও এই কর্মসূচি যুক্ত আছে।

গতবারের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র মতো শুধু হেঁটে নয় বাসও থাকবে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শেষ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।