ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

শিগগিরই ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক, জানাল ক্রেমলিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫১, আগস্ট ৭, ২০২৫
শিগগিরই ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক, জানাল ক্রেমলিন ভলোদিমির জেলেনস্কি, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৈঠক করতে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের এক উপদেষ্টা। বৈঠকের মূল লক্ষ্য হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পথ খোঁজা।

ট্রাম্প সম্প্রতি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়াকে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন, না হলে আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এই ঘোষণার ঠিক আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোতে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেন। আগেও তিনি চারবার মস্কো সফর করেছেন, কিন্তু কোনো বড় অগ্রগতি হয়নি।

ক্রেমলিন উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, একটি তিনপক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের কথা আলোচনায় এসেছে, তবে রাশিয়া এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সমর্থন জানিয়ে এক্সে লেখেন, বাস্তব সমাধান কেবলমাত্র নেতৃত্ব পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমেই আসতে পারে। এখন সময় নির্ধারণ ও আলোচ্য বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা জরুরি।

উশাকভ আরও জানান, ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের স্থান নির্ধারিত হয়েছে, তবে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এখন সব পক্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, আগের আলোচনায় আশার সঞ্চার হলেও পুতিন শেষ পর্যন্ত হতাশ করেছেন। এখন তিনি আরও সতর্ক ভাষায় বলছেন, আমি এটাকে ব্রেকথ্রু বলছি না... অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছি। হাজার হাজার তরুণ মারা যাচ্ছে... আমি এটা শেষ করতে চাই।

রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে, এমনকি শুক্রবারের ডেডলাইনের আগে যুদ্ধ থামানোর লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

এরইমধ্যে ট্রাম্প ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন, কারণ ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে।

ট্রাম্প আগে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একদিনেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন। কিন্তু যুদ্ধ চলছেই এবং এখন তিনি রাশিয়ার বিষয়ে আরও কঠোর মনোভাব নিচ্ছেন।

তবে এখনো রাশিয়া যে শর্তগুলোতে শান্তি চায়, তা ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্রদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। এর মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করা, ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার অঙ্গীকার, চারটি আংশিক দখলকৃত অঞ্চল (দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া) থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।

রাশিয়া বারবারই জেলেনস্কির সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার ইউক্রেনকে আরও ২০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা অনুমোদন করেছে, যাতে ড্রোন তৈরির সহায়তাও রয়েছে।

এই বৈঠক ও আলোচনার ফল কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত, তবে এটি ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে একটি সম্ভাব্য নতুন পর্বের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।