ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

পাস্তুরিত দুধের ১০ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৫৪, জুলাই ২৫, ২০১৯
পাস্তুরিত দুধের ১০ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: ১০ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের নমুনায় গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি সীসার উপস্থিতি থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৪ জুলাই) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান। তিনি বলেন, যে ১০ কোম্পানির বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

এসব কোম্পানির দুধে ভারী ধাতব (সীসা) পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ১৬ জুলাই বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

এরপর এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে জানাতে বলেন আদালত।

সেদিন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।  

প্রতিবেদনে যে কোম্পানির নাম রয়েছে, সেগুলো হল- মিল্কভিটা, ডেইরি ফ্রেশ, ইগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আড়ং ডেইরি, প্রাণ মিল্ক, আফতাব মিল্ক, আল্ট্রা মিল্ক, পিউরা ও সেইফ মিল্ক।

ওইদিন শুনানিতে আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘দুধ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে কি-না, কোনো রাজনীতি থাকলে আমাদের বলুন। দুধ রাজনীতির বিষয় নয়, জনস্বার্থের বিষয়। ’

ওইদিন আদেশের পর ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তরল দুধের ৫০টি নমুনা, ১১টি পাস্তুরিত দুধের ১১টি নমুনা ও ৬টি গোখাদ্য তিনটি সরকারি সংস্থার ল্যাব ও তিনটি বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। মোটামুটি সবক’টি দুধের নমুনায় গ্রহণযোগ্য মাত্রার বেশি সীসা ও ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। তবে গোখাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত কিছু পাওয়া যায়নি।  

যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করা হয়েছে সেগুলো হলো- ১. বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ২. বিসিএসআইআর, ৩. প্লাজমা প্লাস, ৪. ওয়াফেন রিসার্চ, ৫. পরমাণু শক্তি কমিশন ও ৬.আইসিডিডিআর’বি।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘গাভির দুধ ও দইয়ে অ্যান্টিবায়োটিক, কীটনাশক, সিসা!’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গাভির দুধে (প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া) সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি কীটনাশক ও নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপাদান পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে বিভিন্ন অণুজীবও। একইসঙ্গে প্যাকেটজাত গাভির দুধেও অ্যান্টিবায়োটিক ও সিসা পাওয়া গেছে মাত্রাতিরিক্ত। বাদ পড়েনি দইও। দুগ্ধজাত এ পণ্যেও মিলেছে সিসা। ’

‘সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) গবেষণায় এসব ফলাফল উঠে এসেছে। সংস্থাটি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আর্থিক সহায়তায় গাভির খাবার, দুধ, দই ও প্যাকেটজাত দুধ নিয়ে এ জরিপের কাজ করেছে। ’

ওই প্রতিবেদন নজরে আসার পর ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট স্বতপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।

ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।