শৈশবে মস্তিষ্কের বিকাশের হার বেশি থাকে। তাই এই সময়ে অভিভাবকদেরও সন্তানের যত্নে বাড়তি সতর্ক হওয়া উচিত।
মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার সঙ্গে সুষম আহারের যোগসূত্র রয়েছে। শিশুর স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা বৃদ্ধি করতে বা অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে তাই পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ডায়েটের প্রয়োজন। সেই ডায়েটে যেন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, তা খেয়াল রাখতে হবে। অল্প বয়স থেকেই প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে সন্তানকে দূরে রাখতে হবে।
শরীরচর্চার বিকল্প নেই
অনেক শিশুই ছোট থেকে অলস প্রকৃতির হতে পারে। তারা খেলাধুলো করতে পছন্দ করে না। কিন্তু মস্তিষ্কের বিকাশে নিয়মিত খেলাধুলো বা শরীচর্চার গুরুত্ব রয়েছে। ছোটদের প্রতি দিন কমপক্ষে ১ ঘণ্টা কোনও রকম কায়িক পরিশ্রমের মধ্যে থাকা উচিত।
স্ক্রিন থেকে দূরে
সারাক্ষণ মোবাইলে ভিডিয়ো গেম খেলার মাধ্যমে শিশুদের মনোবিকাশ হয় না। তাই পর্দার পরিবর্তে খেলনা বা মাঠে খেলার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত। গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিকাশের গতি বৃদ্ধি পায়।
ঘুমের প্রয়োজন
বাবা-মায়ের দেখাদেখি বহু পরিবারেই ছোটরা রাত জাগে। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে রাত ৯টায় ঘুমিয়ে পড়া উচিত। তারা যেন ১০ ঘণ্টা ঘুমোতে পারে, তা খেয়াল রাখা উচিত।
কথোপকথনের গুরুত্ব
শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য তাদের সঙ্গে খোলামনে কথা বলা উচিত। অন্যথায়, অল্প বয়সেই তাদের মস্তিষ্ক ভারাক্রান্ত হতে পারে। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের ক্ষেত্রে চারপাশের মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা এবং কথোপকথনের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
এএটি