মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে আহতদের চিকিৎসা ও অবস্থা মূল্যায়নের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং দুজন নার্স আসছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান।
তিনি বলেন, তারা আজ রাত ১২টার মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে পৌঁছাতে পারেন।
ইতোমধ্যে ৮টি ডিসিপ্লিনের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম গঠন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে আগত চিকিৎসক দল এই টিমে যোগ দেবেন বলেও জানান ডা. সায়েদুর রহমান।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় এখনো ৬৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ঢাকার এনআইসিবিডি, নিগডু এবং বিএমইউসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরের যে হাসপাতালের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত রয়েছে, তাদের কাছে রোগীদের কেস পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে একজন কনসালট্যান্ট ও দুজন নার্স আজ রাতেই পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি রোগীদের মধ্যে দুজনকে কেবিনে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়েছে। মাল্টিডিসিপ্লিনারি মূল্যায়নে ১০ জনকে শঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া ৩০ জন মাঝারি অবস্থায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনায় মাইলস্টোনের দুজন শিক্ষক মারা গেছেন, যাদের মধ্যে একজনের পেশা শুরুতে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, এখানে ৭০ থেকে ৮০ ধরনের ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে, যা ইতোমধ্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে আগত চিকিৎসকরা চিকিৎসা সরঞ্জামও সঙ্গে আনছেন। যদি অতিরিক্ত কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়, সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১৭০ জন।
এফএইচ/এসআইএস