একসময় সুযোগের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন, এখন তিনি রিয়াল মাদ্রিদের মাঝমাঠের অন্যতম প্রধান ভরসা। জাবি আলোনসোর কোচিংয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছেন তরুণ তুর্কি মিডফিল্ডার আর্দা গুলের।
২০২৩ সালে তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচে থেকে রিয়ালে যোগ দেন গুলের। তখন থেকেই তাকে ঘিরে তুর্কি ফুটবলে ছিল ব্যাপক আগ্রহ। দুর্দান্ত ড্রিবলিং আর সৃজনশীল আক্রমণভাগের খেলার জন্য তুরস্কে তাকে ডাকা হতো ‘টার্কিশ মেসি’ নামে।
তবে স্বপ্নের ক্লাবে প্রথম মৌসুমটা সহজ ছিল না তার জন্য। অভিজ্ঞ দুই তারকা টনি ক্রুস ও লুকা মদ্রিচের উপস্থিতিতে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। বেশিরভাগ ম্যাচে তাকে বসতে হয়েছে বেঞ্চে। সেই সময় রেয়ালের তৎকালীন কোচ কার্লো আনচেলত্তিকেও শুনতে হয় সমালোচনা।
২০২৩-২৪ মৌসুম শেষে আনচেলত্তি বিদায় নেন, যোগ দেন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে। একই সময়ে অবসরে যান জার্মান তারকা ক্রুস এবং বিদায় জানান ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মদ্রিচও। নতুন মৌসুমে দায়িত্ব পান স্প্যানিশ কোচ আলোনসো, যার অধীনে রেয়ালের মাঝমাঠে জায়গা পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন ২০ বছর বয়সী গুলের।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রেয়ালের ১০টি ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন তিনি, যার মধ্যে ৯টিতে ছিলেন শুরুর একাদশে। করেছেন তিনটি গোল, অ্যাসিস্ট চারটি। ক্রুস-মদ্রিচের বিদায়ের পর মাঝমাঠের শূন্যতা যে গুলের নিখুঁতভাবে পূরণ করছেন, তা বলাই যায়।
ফরাসি দৈনিক লেকিপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়ালে নিজের পথচলার শুরু নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তরুণ এই মিডফিল্ডার। বললেন, ‘রিয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই জানতাম, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাব। প্রথম অনুশীলন থেকেই বুঝেছিলাম, আমি এখানকার মান ধরে রাখতে পারব। কখনোই নিজের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ হয়নি আমার। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্লাব আমাকে আগেই জানিয়েছিল, প্রথম বছরটা কঠিন হবে। তখনই তারা বলেছিল, আমি এসেছি মদ্রিচ ও ক্রুসের পরের যুগের জন্য। সবকিছুই পরিষ্কার ছিল, এবং আমি সেটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছিলাম। ’
আরইউ