বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলবদল শেষ হওয়ার কথা ১৪ আগস্ট। তবে এখনও পর্যন্ত ফিফার দলবদল নিষেধাজ্ঞা কাটাতে না পারায় শঙ্কার মুখে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের অংশগ্রহণ।
বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি ক্লাবটিকে ৪ আগস্টের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দলবদলে অংশগ্রহণের অবস্থান জানাতে বলেছিল। তবে শনিবার পর্যন্তও ফকিরেরপুল ফিফার নিষেধাজ্ঞা কাটাতে পারেনি। ফলে বিষয়টি নিয়ে আবারও ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয় তারা। বাফুফে আজ ক্লাবটির সঙ্গে অনলাইনে এক বৈঠকে বসে, যেখানে ফকিরেরপুল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, দ্রুত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তারা নির্ধারিত সময়েই দলবদলে অংশ নিতে চায়। সেই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বাফুফে অতিরিক্ত সময় হিসেবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে।
ফিফার নিষেধাজ্ঞার পেছনে রয়েছে আর্থিক অনিয়ম। গত মৌসুমে উজবেকিস্তানের এক ফুটবলারের চুক্তিভিত্তিক অর্থ পরিশোধ না করায় ফকিরেরপুলের বিরুদ্ধে ফিফায় অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শেষে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি দলটির ওপর দলবদল নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অভিযোগ নিষ্পত্তিতে প্রায় ২৫ লাখ টাকা জরিমানাসহ বকেয়া পরিশোধ করতে হবে ক্লাবটিকে। এই অর্থ পুরোপুরি পরিশোধের পরই মিলবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, যা ছাড়া খেলোয়াড় নিবন্ধনের সুযোগ নেই তাদের সামনে।
তবে ফকিরেরপুল যদি সময়মতো নিষেধাজ্ঞা কাটাতে না পারে, তাহলে গত মৌসুমে অবনমিত হওয়া ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের সামনে খুলে যেতে পারে প্রিমিয়ার লিগে ফেরার দরজা। বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যেই যোগাযোগ রাখছে ক্লাবটি। ওয়ান্ডারার্সের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন জানান, ‘আমরা ফেডারেশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। সুযোগ পেলে দল গড়তে পারবো। কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হয়ে গেছে। ’
চূড়ান্ত সময়সীমা যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই জমে উঠছে দলবদলকে ঘিরে নাটকীয়তা। এখন দেখার বিষয় ফকিরেরপুল শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরে নাকি ঢাকার আরেকটি পুরনো ক্লাব ওয়ান্ডারার্স ফিরে পায় নতুন জীবন।
এআর/এমএইচএম