গত মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা হাতছাড়া হলেও নতুন মৌসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে প্রস্তুত বসুন্ধরা কিংস। দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ক্লাবটি এবার শিরোপা পুনরুদ্ধার ও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ভালো করার মিশনে দল সাজাচ্ছে নতুন করে।
দলের সবচেয়ে বড় চমক হয়তো ব্রাজিলিয়ান কোচ সের্হিও ফারিয়াস। ২০০৯ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো এই কোচ এর আগে পোহাং স্টিলার্স, সান্তোসের যুবদল, কুয়েত, সৌদি আরব, চীন ও কাতারেও কাজ করেছেন। ফারিয়াসের অভিজ্ঞতা ও সাফল্য দেখেই কিংস এবার আস্থা রেখেছে তার কাঁধে।
এই মৌসুমের দলবদলে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে কিংস। ইংলিশ ক্লাব সান্দারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা কিউবান ফুটবলার মিচেলকে নিয়ে এসেছে দলটি, যা বাংলাদেশি ফুটবলে নজিরবিহীন এক চুক্তি।
ভারতের ওড়িশা এফসিতে খেলা দরিয়েলতন গোমেজকেও ফিরিয়েছে তারা। মোহামেডান থেকে দলে টেনেছে এমানুয়েল টনি ও এমানুয়েল সানডেকে। আবাহনী থেকে নেওয়া হয়েছে রাফায়েল আগুস্তো, মোহাম্মদ হৃদয় ও শাহরিয়ার ইমনকে।
দেশি তরুণদের মধ্যে এসেছেন তানভীর হোসেন, তাজ উদ্দীন ও স্যামুয়েল রাকসাম।
এতসব পরিবর্তনের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করলে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান জানালেন, “আমরা আবারও সেরা ফর্মে ফিরতে চাই। সব আসরে ভালো খেলার লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ”
বসুন্ধরা কিংসে এখনই শুরু হয়ে গেছে প্রাক-মৌসুম অনুশীলন। দুই-তিন দিনের মধ্যেই কিউবা মিচেল যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। দ্রুতই আসবেন নতুন কোচ ফারিয়াসও।
২০১৮ সালে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকের পর কিংস টানা ৫ বছর শিরোপা জিতলেও, গত মৌসুমে অস্কার ব্রুজোনের বিদায়ের পর রোমানিয়ান কোচ ভালেরিউ তিতে’র অধীনে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। যদিও তারা ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ জিতেছিল, তবু লিগ শিরোপা এবং এএফসি মিশনে ব্যর্থতা কিংসকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করে।
নতুন মৌসুমে তাই দলবদল থেকে শুরু করে কোচ নির্বাচন—সবকিছুতেই আত্মবিশ্বাসী ও পরিকল্পিত বসুন্ধরা কিংস। এবার তাদের লক্ষ্য শুধু ঘরোয়া ফুটবল নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
এআর/এমএইচএম