ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা গেছে তাকে।
এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা (উয়েফা)। তাদের মতে, ইনফান্তিনোর এই রাজনৈতিক সফর “খেলাধুলার জন্য কোনো উপকারে আসেনি, বরং ফুটবলের স্বার্থকে পিছনে ঠেলে দিয়েছে। ”
কংগ্রেসে বিলম্ব, উয়েফার ওয়াকআউট
ফিফার বার্ষিক সভা বৃহস্পতিবার প্যারাগুয়ের আসুনসিওনে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইনফান্তিনোর দেরিতে আগমনের কারণে তা শুরু হয় দুপুর ১টার দিকে।
ফলে উয়েফার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার চেফেরিনসহ বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় প্রতিনিধি মাঝপথেই সভা ছেড়ে চলে যান। বসার স্থান খালি থাকায় সভার মঞ্চের একাংশ দীর্ঘ সময় ধরে ফাঁকা ছিল।
মধ্যপ্রাচ্য সফর: রাজনীতি বনাম ফুটবল
ইনফান্তিনো তার বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ছিল—সেখানেই আমার উপস্থিত থাকা প্রয়োজন ছিল। ”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরব ও কাতারে যান এবং কাতার থেকে একটি রাষ্ট্রীয় জেট বিমানে যাত্রা শুরু করেন। সেই বিমানে দেরিতে রওনা হওয়ায় সময়মতো সভায় উপস্থিত হতে পারেননি।
কোনও প্রেস কনফারেন্স নয়, নেই প্রশ্নোত্তরও
দ্বিতীয় বছরের মতো এবারও ইনফান্তিনোর কংগ্রেস-পরবর্তী কোনো সংবাদ সম্মেলন হয়নি, ফলে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাননি।
ইউরোপের ক্ষোভ, দক্ষিণ আমেরিকার সমর্থন
ইউরোপের অনেক দেশের প্রতিনিধি (যেমন জার্মানি, নরওয়ে, রোমানিয়া) সভা থেকে বেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবলের প্রধান আলেহান্দ্রো দোমিনগেজ মঞ্চে ইনফান্তিনোর পাশে ছিলেন।
প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা, যিনি বিলম্বে হলেও উদ্বোধনী বক্তব্য দেন, ইনফান্তিনোকে “ব্যক্তিগত বন্ধু” বলে সম্বোধন করেন।
সফর কি তবে বিশ্বকাপ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট?
বিশ্বকাপ আয়োজনের দিক থেকেও এই সফরের তাৎপর্য রয়েছে—২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এবং ২০৩৪ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে পুরুষদের বিশ্বকাপ।
ইনফান্তিনো ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভবিষ্যতের আয়োজক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি ট্রাম্প ক্লাব বিশ্বকাপ ও পরবর্তী বিশ্বকাপ ফাইনালে ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
এমএইচএম