কিশোরগঞ্জ: হাওরাঞ্চল বছরের বারো মাসের পাঁচ মাস থাকে বর্ষার পানিতে ডুবে। এরইমধ্যে পাঁচ মাস অতিবাহিত।
আর ক’দিন পরেই হাওরে শুরু হবে কৃষকদের ব্যস্ততা। যারা বর্ষায় নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করতেন, তারা আগামী সাত (কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ) মাস জমিতে কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
এদের ভিতর কেউ নিজের জমিতে ফসল ফলাবেন, আবার কেউ অন্যের জমিতে খাটবেন বর্গা। বর্ষায় যারা জেলে, শুকনো মৌসুমে তারা রূপান্তরিত হবেন পুরোদস্তুর কৃষকে।

পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে হাওরে মাছের আকাল চলছে। তবু কেউ কেউ এখনো সেখানে ছুটছেন মাছের পিছে।
অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের চৌদন্ত গ্রামের শুক্কুর চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাইস্যায় (বর্ষায়) মাছ ধইরা খাই, শুকনায় খেতে (জমি) আল-চাষ (হাল-চাষ) কইরা খাই। হের ল্যাইগা শহরের মানুষ আমরারে কয়, বর্ষায় আমরা জেলে, শুকনায় কৃষক।
নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের ফজলু মিয়া বলেন, আমাদের তো বছরে দুইডা কাল (ঋতু) বর্ষা ও শুকনা। বর্ষায় আমরা মাছ ধরি, শুকনায় জমিতে কাজ করি।

বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
ওএইচ/এএ