ঢাকা, বুধবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

নিবন্ধনপ্রত্যাশী ১০ দলের তদন্তে আরও ৭ কমিটি ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৩, অক্টোবর ১৪, ২০২৫
নিবন্ধনপ্রত্যাশী ১০ দলের তদন্তে আরও ৭ কমিটি ইসির ইসি

নিবন্ধন দৌড়ে এগিয়ে থাকা ১০ দলের কার্যক্রম অধিকতর তদন্তে আরও সাতটি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীরের সই এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

চিঠিটি কমিটির সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্য/মতামত এ কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপূর্ণতা, যথাযথ মন্তব্যে ঘাটতি থাকায় যাচাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

ইসির সাত অঞ্চলে একজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, একজন অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (সংশ্লিষ্ট অঞ্চল) ও এক জন উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ (সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আওতাধীন) সাত অঞ্চলের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট  কমিটি গঠন করা হয়েছে। অঞ্চলগুলো- ঢাকা, কুমিল্লা, রাজশাহী,রংপুর ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা।  

এর আগেও অধিকতর তদন্তের জন্য ১০ অঞ্চল ১০টি কমিটির গঠন করা হয়েছে। মোট ১৭টি কমিটি যেসব দলের মাঠ কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে সেগুলো- আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।

এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, তদন্ত কার্যক্রমে সবকিছু ইতিবাচক থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দাবি-আপত্তি চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তখন কোনো দাবি আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হবে। আর দাবি আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে দেওয়া হবে নিবন্ধন সনদ।

জানা গেছে, নিবন্ধনের জন্য ১৪৩টি দল আবেদন করলেও প্রাথমিকভাবে কেউ উত্তীর্ণ না হওয়ায় সবাইকে সময় দেওয়া হয়। পুনর্বাছাই শেষে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়ে ১২১টি দলের আবেদন বাতিল হয়। পরে মাঠপর্যায়ে যাচাই করা ২২ দলের মধ্যে সাতটি বাদ পড়ে, দুটি দল (এনসিপি ও জাতীয় লীগ) নিবন্ধন পায়, তিনটি দলের বিষয় পর্যালোচনায় থাকে এবং বাকি ১০ দলের ওপর অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।

আইনানুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১শ উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২শ ভোটারের সমর্থন থাকতে হয়। যাচাই ও দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর সবকিছু ঠিক থাকলে দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ দেয় নির্বাচন কমিশন।

বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৬টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। দলগুলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।  

সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াত ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন>> নতুন দল নিবন্ধন: আগামী সপ্তাহে অবস্থান পরিষ্কার করবে ইসি

ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।