ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রামে সাতটি সশস্ত্র সংগঠন আছে৷ তাই সমতলের মতো পাহাড়ে ভোট আয়োজন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
সোমববার (২৫ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংসদীয় আসনের শুনানিতে এসে এমন আশঙ্কার কথা জানায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি শিক্ষার্থী পাইশিখোই মারমা।
তিনি বলেন, সামনে যে নির্বাচন আসছে নির্বাচন কমিশন সমতলে যেভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা করতে পারবে, ঠিক পার্বত্য চট্টগ্রামে সমতলের মত নির্বাচন ব্যবস্থা করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রাম বর্তমানে সাতটি সশস্ত্র সংগঠন আছে, এ সশস্ত্র সংগঠনকে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার এবং ভারত পেট্রনাইজ করে।
তিনি এ সময় বলেন, ইসিতে এসে এ আলো, এসির বাতাস দেখে আমার যেতে ইচ্ছা করছে না। কারণ আমি যেখানে থাকি সেখানে এ নাগরিক সুবিধা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের এক দশমাংশ অঞ্চল এ অঞ্চলকে বাদ দিয়ে কোনোদিন আপনারা সমতলের উন্নতি করা সম্ভব না।
পাইশিখোই মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধি বাড়ানো দরকার৷ আমরা তিনটা আসন থেকে ৮ আসন করার দাবি জানাচ্ছি। সমতলের মানুষ যে সুযোগ সুবিধা পায় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ তা পায় না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী সাদাত ফরাজি সাকিব বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় ১৯ লক্ষ জনগণের বসবাস। এই ১৯ লক্ষ জনগণকে বাইরে রেখে দেশের যে সার্বিক উন্নয়ন সেটি সম্ভব নয়। আমরা যদি নতুনভাবে বাংলাদেশকে আমরা বিনির্মাণ করতে চাই; আমরা নতুন যে বাংলাদেশের বন্দোবস্তের কথা বলছি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের কথা যখন বলছি তখন যদি আমাদেরকে বৈষম্য দূর করতে হয় সর্বপ্রথম পার্বত্য চট্টগ্রামে জনমানুষের এই যে রাজনৈতিক অধিকার সেটি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের পক্ষ থেকে একটি দাবি জানাতে চাই সেটি হচ্ছে এই যে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলায় মাত্র তিনটি সংসদীয় আসনকে আটটি আসনে উন্নতি করে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের নাগরিক অধিকার সমন্বিত রাখা।
ইইউডি/জেএইচ