ঢাকা, সোমবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩ সফর ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

যৌক্তিক বিবেচনায় ভোটকেন্দ্র বাড়ানো হবে: ইসি সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪১, আগস্ট ১৮, ২০২৫
যৌক্তিক বিবেচনায় ভোটকেন্দ্র বাড়ানো হবে: ইসি সচিব বক্তব্য দিচ্ছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ভোটকেন্দ্র যৌক্তিক বিবেচনায় যদি বাড়ে সেটা বাড়ানো হবে। তবে আমরা ভোটকেন্দ্র না বাড়ানোর আলোচনা করেছি।

 

সোমবার (১৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আখতার আহমেদ বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালা নিয়ে। এখানে আজকে আমরা বলেছি যে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে না। বাড়বে না এর অর্থ এই নয় যে অতীতে যা ছিল সেটাই একদম হুবহু এটা রাখতে হবে। যৌক্তিক বিবেচনায় যদি বাড়ে সেটা বাড়ানো হবে। আমাদের পার ভোটকেন্দ্র জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩ হাজার জনের জন্য একটা কেন্দ্র, সেই অনুযায়ী আমরা হিসাব করে আমাদের ধারণা যে ভোটকেন্দ্র না বাড়িয়েও শুধু ভোটার উপস্থিতির বিষয়টাকে যদি আমরা বিবেচনায় নিই, তাহলে আমরা হয়তো দেখা যাবে যে এটাকে সমন্বয় করতে পারছি। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি এখন আমাদের পার কেন্দ্রে পুরুষদের জন্য এটা আছে ৫০০ জনের জন্য একটা বুথ। এটাকে আমরা যদি ৬০০ করতে পারি তাহলে দেখা যেতে পারে যে আমরা একোমোডেট করতে পারব। সেইভাবে আমরা একটু হিসাব করছি এবং হিসাব করে যদি দেখি যে হ্যাঁ এটা গ্রহণযোগ্য তাহলে আমরা সেই মাত্রায় কাজ করব।

নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনার ব্যাপারে আমি বলেছিলাম, এই সপ্তাহে এটা করব। হ্যাঁ, এটা কোঅর্ডিনেট করা হচ্ছে। এই সপ্তাহের ভেতরে আপনাদের দিতে পারব।  

আখতার আহমেদ বলেন, ৮৩টি আসন সম্পর্কিত যে আপত্তি আসছে সেটা আমরা শুনানি ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করব। চার দিন টানা শুনানি হবে। আমরা এটাকে ফাইনালাইজ করব।  

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আমরা এনআইডি কারেকশনের স্ট্যাটাসটা জানার চেষ্টা করেছি বা জেনেছি। আমাদের দৃষ্টিতে যেটা গ্রহণযোগ্য না এবং সে কারণে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু আবেদনকারীর দৃষ্টিতে সেটা সঠিক না হলে আপিল করার সুযোগ আছে এবং তিনি আপিল করেন। এখন আমরা সেই আপিল অনুযায়ী নিষ্পত্তি করব। এমন আবেদনের সংখ্যা ৮০ হাজার।  

ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ স্ক্যানের বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, ২০০৮ সাল থেকে যে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তার অনেকগুলো ফর্ম এখনও স্ক্যান করা বাকি ছিল। সেই ফর্মগুলো স্ক্যান করে কমিশনের পোর্টালে আপলোড করার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে তথ্য ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নতুন নিবন্ধনের আবেদন করা ২২টি রাজনৈতিক দলের তথ্য মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। আর যাদেরটা বাতিল বা বিবেচনাযোগ্য হয়নি তাদের আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি যে, এই কারণে বাতিল হয়েছে। এবার আমরা স্পষ্ট করে বলতে বলে দেব, যে কোনো কারণে বা কোনো শর্তের অপূর্ণতার কারণে তাদেরটা বিবেচনা করা যায়নি।

ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।