দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কারণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগের চেয়ে ‘বেশি’ সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হবে।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যতটুকু নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বুঝেছি, নির্বাচনী প্রস্তুতি তারা যথাযথভাবে নিচ্ছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। আসলে দেশে এখন পুলিশের ভূমিকা তুলনামূলকভাবে দুর্বল— এটা আমরা সবাই জানি কেন হয়েছে। আগের সরকার তাদের এমনভাবে ব্যবহার করেছে যে, আজ তারা নিজেরাই তাদের আচরণের জন্য লজ্জিত। সেই কারণেই এই দুর্বলতা তৈরি হয়েছে। তবে এটাকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। নির্বাচনের এখনও কয়েক মাস বাকি আছে, তাই এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতিরও কিছুটা পরিবর্তন হবে বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সহযোগিতা করছে। নির্বাচন কমিশন থেকে যেটা বলা হলো, নির্বাচনের সময়ে যদি প্রয়োজন হয় তারা আরও বেশি সংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়েনের ব্যাপারে অনুরোধ করবেন। এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর জন্য কোস্টগার্ড এবং নেভি, তারা যাতে দায়িত্ব পালন করে সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা করবে। আমরা জানি যে নির্বাচন কমিশন কোন অনুরোধ করলে সরকারকে সেটা রাখতে হয়। কাজেই ওই বিষয়েও আর খুব বেশি দুশ্চিন্তার কোনো কারণ দেখছে না কমিশন।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব আছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি আমাদেরও চেষ্টা থাকতে হবে যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি না ঘটে। আমাদের দল, নেতাকর্মী, সদস্য, শুভানুধ্যায়ী ও সমর্থকরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটে অংশ নিতে পারে, সেটাই আমরা চাই। আমি বিশ্বাস করি— আমাদের মতো অন্য যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদেরও একই মনোভাব থাকবে। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমরা দেখছি না।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ইসি সচিব ও নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও উপস্থিত ছিলেন।
ইইউডি/এমজে