বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষ থেকে আন্তরিক সাড়া পাওয়ার পর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল আমাদের দাবির সঙ্গে একমত।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এরপর বেতনের ওপর ২০ শতাংশ ভাতাসহ ৩ দাবিতে শিক্ষা ভবনের উদ্দেশে ভুখা মিছিল শুরু করেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ৩টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
দেলাওয়ার হোসাইন বলেন, দুপুর ১২টায় আমাদের ভুখা মিছিলের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আহ্বানে আমরা দুপুর ১২টায় তার সঙ্গে বৈঠক করি। ওনার সঙ্গে কথা বলার পর মনে হয়েছে উনি আন্তরিক। যদিও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের ব্যাপারে ওনাদের কাছে ভুল তথ্য দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওনাদের ধারণা ছিল সরকারকে বেকায়দায় ফেলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু আমি বলেছি, আমরা সাত দিন ধরে শৃঙ্খলা বজায় রাখছি। আমরা শাহবাগে যত মানুষ নিয়ে গিয়েছি, অন্য কেউ হলে সিনক্রিয়েট করতো, নয়তো দাবি আদায় করতো। কিন্তু আমরা সরে এসেছি।
আজিজী বলেন, আমাদের ন্যায্য আন্দোলন, এর সাথে নির্বাচন পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ বা কাল দলের হাইকমান্ডের একটি প্রতিনিধিদল শহীদ মিনারে বক্তব্য দেওয়ার জন্য পাঠাবেন।
তিনি বলেন, বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ দেওয়াকে আমরা প্রাথমিক বিজয় বলে ধরে নিচ্ছি। কিন্তু এটি আমাদের চূড়ান্ত বিজয় নয়। প্রজ্ঞাপন যতক্ষণ না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের এই নেতা বলেন, আমাদের দাবির সঙ্গে সবাই একমত। কোনো রাজনৈতিক দল বাদ নেই। সরকারকে বলব, রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন নিয়েই এসেছেন। তারা যেহেতু একাত্মতা জানিয়েছে, ফলে এটা এখন সবার দাবি।
আজিজী বলেন, নির্বাচনের স্টেকহোল্ডার আমরা। আমদের সহযোদ্ধারা প্রিজাডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ ৮০ শতাংশ দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জীবন বাজি রেখে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন যেন নির্ধারিত সময়ে হয়, দেশে যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উত্তরণ হয়, সে চেষ্টা আমরা করব। আপনাদের দায়িত্ব হয়েছে আমাদের পাশে থাকার।
এফএইচ/এমজেএফ