ঢাকা, শুক্রবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

চাকরি জাতীয়করণ, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১১, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
চাকরি জাতীয়করণ, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের শিক্ষাকরা

বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতাসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান বলেন, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৫ শতাংশ দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তাদের চাকরির নিরাপত্তা নেই। নেই সামাজিক মর্যাদা কিংবা অর্থনৈতিক মুক্তি। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে একজন প্রিন্সিপাল থেকে শুরু করে পিয়ন পর্যন্ত মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পান।  

তিনি আরও বলেন, গত ৭ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত শিক্ষক মহাসমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চু্যয়ালি যুক্ত হয়ে চাকরি জাতীয়করণসহ শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা শিক্ষক সমাজ সাদরে গ্রহণ করেছে।

অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও উৎসব ভাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবি আমরা আলোচনার মাধ্যমেই আদায় করেছি। ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি আলোচনার মাধ্যমেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অবসর সুবিধা প্রদান করেছিলেন। এরও আগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ৫০ শতাংশ বেতন প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।  

তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের আর্থিক বাস্তবতা অনুযায়ী ন্যায্য পরিমাণে এসব ভাতা বাড়ানোর দাবি শিক্ষক সমাজের।  
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, কিছু সংগঠন দাবি আদায়ের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি ঘোষণা করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। অথচ শিক্ষক কর্মচারীদের দাবি আদায়ের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ঐক্যজোট।  

তিনি জানান, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সরকারের ইতিবাচক মনোভাব পাওয়া গেছে। তবে অর্থ উপদেষ্টা বিদেশে থাকায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা মনে করি, সরকারকে কিছুটা সময় দেওয়া উচিত।  

কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ড চালুর দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, গত ৫ আগস্টের পর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। ফলে প্রায় ৯০ হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিনা চিকিৎসায় অনেক শিক্ষক মারা যাচ্ছেন। তাই অবিলম্বে বোর্ড পুনর্গঠন করে কল্যাণ ও অবসর সুবিধা চালুর দাবি জানান।

এছাড়া নন-এমপিওভুক্ত কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করারও জোর দাবি জানানো হয় এই শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সংবাদ সম্মেলনে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব জাকির হোসেন, চৌধুরী মুগীছ উদ্দিন মাহমুদ, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক জাকারিয়া শরীফ, অধ্যাপক আবদুল হাকীমসহ অনেকেই।

ডিএইচবি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।