বেশি নম্বর দিয়ে পাসের হার বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা সরকার, মন্ত্রণালয় বা বোর্ড থেকে উত্তরপত্র মূল্যায়নকারীদের দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে এইচএসসি ফলাফল নিয়ে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, (নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে) আমরা কাউকে কোনো ছক বেধে দেইনি। এভাবে নম্বর ছাড় দেবেন বা বেশি দিয়ে পাসের হার বাড়াবেন; বোর্ড থেকে এমন কোনো ভাবনার প্রয়োজন নেই। মন্ত্রণালয় বা সরকার (এমন) কোনো নির্দেশনা দেননি। তাদের নির্দেশনা ছিল, যা নিয়ম সে মোতাবেক চলবে।
তিনি বলেন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের যে নিয়ম আছে, আমরা তাদের সেগুলো স্মরণ করিয়েছি, যে আপনারা জানেন কীভাবে খাতা দেখতে হয়। দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, সেই অভিজ্ঞতায় যদি কোনো বদঅভ্যাস থাকে যে, সামান্য লিখলে ভুল হলেও ১-২ নম্বর দেওয়া, সেগুলো দেওয়ার দরকার নেই।
তিনি আরও বলেন, এতে তারাও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। তারাও বেশ খুশি। তারা বলেছেন, তারা একটা ভালো খাতা মূল্যায়নের সুযোগ পেয়েছেন। ফলাফলে এমন ধ্বস শিক্ষাব্যবস্থার বড় গলদ প্রমাণ করে কী না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের গলদ আছে; অবশ্যই। অর্ধেক শিক্ষার্থী ফেল করল, এটা তো কাঙ্ক্ষিত নয়।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে বিষয়টা আয়নার মতো দাড়িয়েছে। আমরা দেখছি, অবশ্যই গলদ আছে। তা ঠিক করার দায়িত্ব বোর্ড এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
কয়েকটি বোর্ডে প্রশ্ন কঠিন হয়েছিল কী না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশ্ন আগেই প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রত্যেক বোর্ড প্রশ্ন করে। পরে তা আন্তবোর্ডে আসে এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে কোন বোর্ডের প্রশ্নে কোন বোর্ডে পরীক্ষা হবে, তা নির্ধারিত হয়। অর্থাত, দেখা গেল, ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন প্রণয়ন করেছে, রাজশাহী বোর্ড। প্রশ্ন কঠিন করার কোনো নির্দেশনা ছিল না।
তিনি বলেন, পাসের হার কম, এটি হলো বাস্তবতা। এটি আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে, আমরা এটি ফ্যাব্রিকেটেড করিনি, এটার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে।
এফএইচ/জেএইচ