ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

শুকানোর সময় দিন, কালি উঠবে না: উপাচার্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০১, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
শুকানোর সময় দিন, কালি উঠবে না: উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর ভোটারদের আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, ভালো কালি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

ঘষাঘষি না করে শুকানোর সময় দিলে কালি উঠবে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে জুবেরী ভবন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, একটু শুকানোর সুযোগ দেন। আমাদের রেজিস্টার সাহেব কালকে কালি লাগিয়েছেন, আজকে যতই ঘষাঘষি করছি আমরা কালি উঠছে না। সবচেয়ে ভালো কালি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। একটু শুকানোর সুযোগ দিলে এটা কোনো সমস্যা হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেকগুলো ধাপ আছে, সেই ধাপগুলোর মধ্যে একটা এই কালি। যদি কেউ ঘষে কালি আবছা করেও ফেলত, তাহলেও তার দ্বিতীয় ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোট দেওয়ার সময় তার নাম এন্ট্রি হয়ে গেছে। ওটা রেকর্ড হয়ে গেছে। সে আরেকবার কালি নিয়ে ভোট দেবে, সেই সুযোগ নেই।

পোলিং এজেন্টদের ছবিযুক্ত তালিকা দেখতে না দেওয়ার ব্যাপারে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই তালিকা তাদের নিজেদের প্রিন্ট করে নেওয়ার কথা। ক্যান্ডিডেটরা তাদের পোলিং এজেন্টের কাছেই তালিকা দিয়ে দেয়। তারা মনে হয় বিষয়টি বুঝতে পারেনি। তারা যখন আমাদের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে তালিকা চাচ্ছে, প্রিজাইডিং অফিসার তো তাদের সবাইকে তালিকা সরবরাহ করতে পারবে না। এটা একটা সাধারণ ব্যাপার। এই তালিকা অনলাইনে আছে। তারা চাইলে এখনো কোথাও থেকে প্রিন্ট করে নিতে পারবে।

বহিরাগতদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বহিরাগতদের ব্যাপারটা আমাদের ইউনিভার্সিটির এখতিয়ারের বাইরে। ক্যাম্পাসের বাইরে কী হচ্ছে, না হচ্ছে এখানে আমাদের কোনো জুরিসডিকশন নেই। এই কাজটার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলেছি, তারা যেন একটু নজরদারি রাখেন। যেন বাইরে থেকে কোনো ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়। আমি যেটুকু জানছি ওনারা আন্তরিকতার সঙ্গে সেই চেষ্টা করছে।

ভোট গণনা হতে কত সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি, প্রায় রাত শেষ হয়ে যাবে। ওএমআর অনেক বেশি এফিশিয়েন্ট। কিন্তু তারপরও সময় লাগে। ওইটুকু সময় আমাদের দিতে হবে।

এসসি/এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।