ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

রাকসুতে ‘পাকিস্তানপন্থী’ প্রশাসনের ষড়যন্ত্র চলছে: শাখা ছাত্রদল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০৪, আগস্ট ২৫, ২০২৫
রাকসুতে ‘পাকিস্তানপন্থী’ প্রশাসনের ষড়যন্ত্র চলছে: শাখা ছাত্রদল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলকে ঠেকাতে ‘পাকিস্তানপন্থী’ প্রশাসনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছে শাখা ছাত্রদল। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী এ অভিযোগ করেন।

রাহী বলেন, আজ পাকিস্তানি পেতাত্মারা, যারা দুর্নীতি করে ব্যাংক শূন্য থেকে অর্থকুবের হয়েছে, তারা পাকিস্তানের কাছে বিক্রি হয়ে রাকসুকে ভঙ্গ করার ষড়যন্ত্র ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে ব্যস্ত।   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়া) নির্বাচনে সাবেক শিক্ষার্থীদের অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছিল। সেই বিতর্কিত নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনারকেই রাতের আঁধারে কোনো আলোচনা ছাড়াই রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো শিক্ষক অপমান বা লাঞ্ছিত হোক তা আমরা চাই না। আমাদের একটাই দাবি—সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাকসু নির্বাচন। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা, যারা জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

সমাবেশে সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল মিঠু বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভোটকেন্দ্র অবশ্যই আবাসিক নয়, একাডেমিক ভবনে হতে হবে। স্বচ্ছ ও ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা ছাড়া শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।

ছাত্রদলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—প্রথম বর্ষ ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে রাখা, হালনাগাদ ছবি সহ ভোটার তালিকা প্রকাশ, আবাসিক হলে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা এবং বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন।

সমাবেশ শেষে ছাত্রদল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন-১ এর সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।

উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আমরা তাদের দাবিগুলো পেয়েছি এবং এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। যেসব বিষয় সরাসরি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা নির্বাচন কমিশন দেখবে।

এ সময় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, দপ্তর সম্পাদক নাফিউল জীবন ও সহ-দপ্তর সম্পাদক নূরুন্নবী সান্তসহ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।