ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ মীমাংসায় সর্বোত্তম পন্থা এডিআর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৬, নভেম্বর ১৫, ২০২০
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ মীমাংসায় সর্বোত্তম পন্থা এডিআর

ঢাকা: ঋণপত্র থেকে উদ্ভুত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ সমাধানে যেসব বিষয় উঠে আসতে পারে, সেসবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রচলিত আদালত ব্যবস্থায় প্রতিকার চাওয়ার চেয়ে ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’ তথা অলটারনেটিভ ডিস্পিউট রিজলোসন (এডিআর) পদ্ধতি অনুসরণ সহজতর, অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

রোববার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারের এ বিষয়টি উঠে আসে।

‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির মাধ্যমে ঋণপত্র (এলসি) বিষয়ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিরোধ মীমাংসা’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন দেশ বিদেশের এডিআর বিশেষজ্ঞ, ব্যাংকার, আইনজীবী ও ব্যবসায়ীরা।

ওয়েবিনারে ডিসিসিআই সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামস মাহমুদ ডিসিসিআই’র সদস্য প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির বিদ্যমান সমস্যাগুলো তুলে ধরে কথা বলেন।

তিনি বলেন, এডিআর পদ্ধতি অনুসরণ করে এসব নিষ্পত্তি করা গেলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে ডিসিসিআই ও বিয়াক একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দুই পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঋণচুক্তির অসামঞ্জস্যগুলো দূর করে বাস্তবমুখী ও জনকল্যাণমূলক করা হবে।

বিয়াক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী বলেন, গত প্রায় এক দশক ধরে দেশের একমাত্র নিবন্ধিত এডিআর প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘এডিআর পদ্ধতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিয়াক’ কাজ করে যাচ্ছে। সালিশি ও মধ্যস্থতা কার্যক্রম দ্বারা এসব বিরোধ নিষ্পত্তি দ্রুততর ও অর্থ সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। এগুলো নিষ্পত্তিতে বিয়াক তার নিজস্ব বিধিমালা প্রয়োগে সাফল্য অর্জন করতে শুরু করেছে। ডিসিসিআই’র সাথে কাজ করে ‘ঋণচুক্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার ইতিবাচক ফল অর্জন’ আরও সহজ হবে।

আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) দুবাই’র পরিচালক ও আইসিসি ব্যাংকিং কমিশন, প্যারিস’র নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ভিনসেন্ট ও’ব্রায়ান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এসময় তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইসিসি’র কার্যক্রমের বর্ণনা তুলে ধরেন।

ভিনসেন্ট ও’ব্রায়ান বলেন, এসব বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশে বিয়াক স্ব-উদ্যোগে প্রশংসনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। বাণিজ্যিক লেনদেনে দুই পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঋণচুক্তিতে উভয়ের সুষম স্বার্থ সংরক্ষণ ও এসব চুক্তি লংঘনের অনভিপ্রেত ক্ষেত্রে বিয়াক ও ডিসিসিআই সাহায্যকারীর অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গ্রুপ লিগ্যাল বিষয়ক বিভাগের প্রধান ব্যারিস্টার শাফায়াত উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান-উজ জামান, ডিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, স্ট্যন্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চিফ অপারেটিং অফিসার খালেদ আজিজ, ডিসিসিআই’র এসডিজি-২০২০ বিষয়ক বিশেষ কমিটির আহবায়ক এম এস সিদ্দিকী, ডিসিসিআই’র সদস্য ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম এবং বিয়াক এর কাউন্সেল রুবাইয়া এহসান কারিশমা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
ইএআর/এইচএমএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।