খুলনা: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পূর্ব রূপসা ঘাট শাখার ভল্ট ভেঙ্গে ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা লুটের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়িত্ব অবহেলা করা হয়েছে কিনা এ বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য রোববার (১৮ আগস্ট) এ কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিভাগীয় অফিসের ডিজিএম আসলাম হোসেন, এজিএম মশিউর রহমান ও এজিএম হামিম শেখ।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক খুলনার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ব্যাংক লুটের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় রোববার পুলিশ মো. ইউনুস শেখ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতারকৃত ইউনুস উপজেলার নিকলাপুর গ্রামের ইনছান শেখ এর ছেলে। তিনি ব্যাংকের ওই ভবনের ৩য় তলায় ভাড়া থাকতেন। এছাড়া একই ভবনের নিচতলায় তার একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত লুট হওয়া টাকা উদ্ধার হয়নি।
পুলিশ জানায়, ওয়ার্কশপ মালিক ইউনুসকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডে নেওয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ব্যাংকের তিনজন নিরাপত্তা প্রহরী এখনো পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ না থাকায় যেকোন সময় পরিবারের জিম্মায় তাদের দিয়ে দেওয়া হবে ।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, কৃষি ব্যাংক পূর্ব রূপসা ঘাট শাখার ৬টি তালাসহ ভল্ট ভেঙ্গে ১৬ লাখ টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় ইউনুস নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আরো তথ্য জানা এবং লুট হওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে। আরো যারা জড়িত রয়েছেন তাদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, পূর্ব রূপসা পেট্রোল পাম্প ও পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড পুলিশ ফাঁড়ির কাছে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের অবস্থিত কৃষি ব্যাংকের রূপসা ঘাট শাখায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেম ব্যাংকে এসে দেখেন, মেইন গেটের তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে তিনি দেখেন মূল গেট ও লকারও ভাঙা অবস্থায় রয়েছে এবং সবকিছু এলোমেলো। তিনি বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার পুলিশের উপস্থিতিতে লেজার ও ক্যাশ মিলিয়ে দেখা যায়, ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা নেই। ব্যাংকে লুটপাট চালানোর সময় দুর্বৃত্তরা প্রতিটি সিসিটিভি ক্যামেরা রুমাল দিয়ে ঢেকে দেয়। ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় ১৫ আগস্ট ভোর ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে একজন দুর্বৃত্ত মাথা ও মুখ কাপড়ে ঢেকে ব্যাংকে প্রবেশ করে সিসিটিভি ক্যামেরা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়।
এঘটনায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১৭।
এমআরএম