ঢাকা, রবিবার, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০ মহররম ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমের বাজারে কেনাবেচা জমজমাট, দাম কম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৩৮, জুলাই ৫, ২০২৫
আমের বাজারে কেনাবেচা জমজমাট, দাম কম জমে উঠেছে মৌসুমি আমের কেনাবেচা।

নীলফামারী: মৌসুমে গড়ে উঠা আমের বাজারে কেনাবেচা জমে উঠেছে। কোথাও কয়েক ঘণ্টা কোথাও সারাদিনে বিক্রি হচ্ছে আম।

এরমধ্যে মালিক বাগান থেকে সরাসরি পাইকারদের কাছে ও অনলাইনে আম বিক্রি করছেন। সুমিষ্ট আম বলে পরিচিত হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা কেজিতে। সব মিলে আমের এ মৌসুমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুরের রেলঘুনটি এলাকায় পাইকারী ও শহরের বাজারে বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে। হাঁড়িভাঙা আমের সাথে এখানে রয়েছে আম্রপালি, ব্যানানা, বারী-৪ আমসহ স্থানীয় জাতের আম। পাইকারি ৩০/৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০/২০ টাকা বাড়িয়ে।  

শহরের নিয়াজ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, মানুষের মধ্যে আমের চাহিদা প্রচুর।  বিশেষ করে রংপুর অঞ্চলের সুমিষ্ট হাঁড়িভাঙা আমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। রংপুরের বদরগঞ্জে স্টেশন রোডে প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বসছে আমের পাইকারি বাজার। এখানে হাঁড়িভাঙার পাশাপাশি বারী-৪, ব্যানানা ও অন্যান্য জাতের বিক্রি হচ্ছে। এখান থেকে আম চলে যাচ্ছে আশেপাশের জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এখান থেকেই কুরিয়ারে পাঠানো হচ্ছে আম। চাষি সরাসরি আম বিক্রি করছেন এ বাজারে। পাইকাররা প্রতিমণ হাঁড়িভাঙা আম কিনছেন ১২শ থেকে ১৬শ টাকা দরে।  

এই বাজারের স্থানীয় কৃষক অহিদুল হক বলেন, গাছভর্তি হাঁড়িভাঙা আম ধরেছে। বাজারে এনে প্রথমে ভালো দামে বিক্রি করতে পারলেও এখন দাম কিছুটা কম।  বাড়ির মানুষ, এতো আম খেতে চায় না। বাড়ির গাছের আম হওয়ায় লোকজন দামাদামি করেই কিনে নেয়।

এ বাজারে আম কিনতে আসা গৃহিণী আসমা বেগম জানান, ঢাকার নিকটজনের কাছে আম পাঠাতে ২০ কেজি আম ২৫ টাকা কেজি হিসাবে মালিকের কাছ থেকে কিনেছি। এসব কুরিয়ার করবো। এ আম বাজারে চাষি আম নিয়ে আসার সাথে সাথে কিনে আবার বিক্রি করছেন সেই মধ্যস্বত্বভোগী বেশি লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়া বাজারটিতে জায়গা স্বল্পতাও রয়েছে।

বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর সড়কের ডারারপাড় নামক স্থানে বাগান থেকে সরাসরি হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করছেন জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা।  

তিনি বলেন, আমি একসময় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। পরবর্তীতে নার্সারি ও বাগান করে লাভবান হয়েছি। আমার কয়েকটি আম বাগান রয়েছে। সেখান থেকে পাইকারী, খুচরা এবং অনলাইনে আম বিক্রি করছি। এ কাজে এলাকার বেকাররা কাজ করে চলতে পারছেন।


  
সৈয়দপুর-পার্বতীপুর সড়কের কেলোকার সামনে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে আমের বাজার। এ পথে চলাচলকারীরা সহজে ও সস্তায় আম কিনতে পারছেন। আশেপাশের বাগান মালিকরাই নিজেরা আম বিক্রি করছেন। কেউবা বাগান মালিকের কাছ থেকে আম কিনে এ ব্যবসা করছেন। এতে করে ভালো লাভ করছেন মালিক ও ব্যবসায়ীরা।  কেউ হোন্ডা থামিয়ে, রিকশা, ভ্যানের যাত্রীরাও কিনছেন পথের ধারের দোকান থেকে মৌসুমি আম। এ বেচাকেনার দেখে মনে হয় উৎসব লেগেছে সেখানে। শহরের বাজারের তুলনায় এসব গ্রামীণ বাজারে দাম কিছুটা কম থাকায় মানুষজন প্রতিদিনই ভিড় করছেন এসব বাজারে আম কিনতে।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।