ঢাকা: বাংলাদেশ স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএ) আয়োজনে দুই দিনব্যাপী ১৯তম জাতীয় পরিসংখ্যান সম্মেলন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে (বিসিএফসিসি) এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘ডেটা সায়েন্সের মাধ্যমে সরকারি পরিসংখ্যানের অগ্রগতি: ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের সেতুবন্ধন’। এর মাধ্যমে ক্লাসিক্যাল পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক ডেটা সায়েন্সকে সমন্বিত করে প্রমাণভিত্তিক নীতি প্রণয়ন ও জাতীয় উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, নির্বাহী চেয়ারম্যান পিপিআরসি ও চেয়ারপারসন ব্র্যাক; আলেয়া আক্তার, সচিব পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং প্রফেসর ড. শাহজাহান খান, উপাচার্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন, সভাপতি, বিএসএ এবং অধ্যাপক, আইএসআরটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. দীপঙ্কর রায়, মহাসচিব, বিএসএ এবং যুগ্মসচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. জাহিদা গুলশান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বিএসএ এবং অধ্যাপক, আইএসআরটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বক্তারা বলেন, নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডেটার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো বিচিত্র ও ব্যাপক ডেটাকে মূলধারায় আনা এবং সরকারি পরিসংখ্যানের সঙ্গে সমন্বয় করা। তারা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন যেখানে পরিসংখ্যানবিদ, ডেটা সায়েন্টিস্ট ও পেশাজীবীরা একত্রে কাজ করতে পারবেন—যে ভূমিকা পালনে বিএসএ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ সম্মেলনের মাধ্যমে তা আরও অগ্রসর হবে।
কনফারেন্স কনভেনর অধ্যাপক শফিকুর রহমান জানান, দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ২টি কী-নোট প্রবন্ধ, ৩টি সেশনে ২৪টি আমন্ত্রিত বক্তব্য এবং ১০টি কন্ট্রিবিউটেড সেশনে ৯৬টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হবে যেখানে পরিসংখ্যান পদ্ধতি, সরকারি পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্সের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে।
এছাড়া উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে একটি বিশেষ গোল টেবিল আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গবেষক, পরিসংখ্যানবিদ ও নীতি-নির্ধারকদের একত্র করে সম্মেলনটি সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠনে পরিসংখ্যানের শক্তিশালী ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলেও জানান তিনি।
এসএমএকে/জেএইচ