ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

স্বাধীনতা সংগ্রামী লক্ষ্মী সেহগল প্রয়াত

নয়াদিল্লি ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০৭, জুলাই ২৩, ২০১২

নয়াদিল্লি : প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ডা. লক্ষ্মী সেহগল সোমবার মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তারা বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া ছিলেন ঝাঁসি রানীবাহিনীর ক্যাপ্টেন।  

এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় কানপুর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গত বুধবার থেকে তিনি কোমায় চলে যান। মৃত্যুকালে রেখে গেছেন তাঁর দুই কন্যাকে। তিনি কানপুর মেডিক্যাল কলেজে তাঁর দেহদান করে গেছেন।

১৯১৪ সালে তাঁর জন্ম। ১৯৩৮ সালে এমবিবিএস পরীক্ষায় পাশ করে তিনি সিঙ্গাপুরে চলে যান নেতাজীর সঙ্গে দেখা করতে। আজাদ হিন্দবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। সেখানেই ঝাঁসি রানীবাহিনীর ক্যাপ্টেন হন। পরে কর্নেল।

তাঁর বাবা প্রেম সেহগল ১৯৪০ সালে সিঙ্গাপুরে ভারতীয় সেনাদের জন্য ক্লিনিক তৈরি করে তাদের সেবা করেছেন।

স্বাধীনতার পরে উত্তরপ্রদেশের কানপুরেও তিনি গরীব মানুষের জন্য একটি ক্লিনিক গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি প্রতিদিন সকাল ৯টায় উপস্থিত হতেন। এছাড়াও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীদের  চিকিৎসা করার জন্য কলকাতায় ক্লিনিক খোলেন।

স্বাধীনতার পরে বাম রাজনীতিতে যোগ দেন ও সিপিএমের পার্টির সদস্য হন। ১৯৭১ সালে রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৯৮ সালে তাঁকে পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে চার বাম জোট তাকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করলে তিনি এপিজে আব্দুল কালামের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।

তাঁর মৃত্যুতে রাজনীতিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। কানপুরের মানুষ তাদের দিদিকে হারাল। দেশ হারাল এক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে।

বাংলাদেশ সময় : ১৩৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর     
kumar.sarkerbd@gmail.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।