ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় হরতালে ব্যাপক সাড়া

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১০, জুলাই ১৩, ২০১২

আগরতলা (ত্রিপুরা) : কংগ্রেসের ছাত্র যুব সংগঠনের ডাকা ১২ ঘণ্টার ত্রিপুরা হরতালে ব্যাপক সাড়া পড়ে। শুক্রবার  হরতাল পালিত হয়েছে সর্বাত্মক ।

কিছু কিছু ছোট খাট হিংসাত্মক কার্যকলাপ হয়েছে।
তবে হরতালের প্রভাব রাজধানী আগরতলাতেই বেশি ছিল।

ত্রিপুরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের ঘটনা নিয়ে হরতাল ডেকেছিল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এন এস ইউ আই এবং যুব কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডে মারাত্মক মেধা কেলেঙ্কারি হয়েছে।

এই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অবিলম্বে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড ভেঙে দেয়া, বোর্ডের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা এবং হাই কোর্টের বিচারপতি দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করানোর দাবি জানান হয়েছে।


উল্লেখ্য, গত মাসের সাত তারিখ ত্রিপুরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের রেজাল্ট বের হয়। এর পরই তিন ছাত্র-ছাত্রী রেজাল্টকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা করে। নিম্ন আদালত এই মামলা খারিজ করে দেয়। পরে হাই কোর্টে যায় ঐ তিন জন।

প্রাথমিকভাবে হাই কোর্ট জয়েন্ট এন্ট্রান্সের কাউন্সিলিং এক দিন পিছিয়ে দেয়। মঙ্গলবার সেই মামলার পুনরায় শুনানি হয়। এদিন বোর্ডের পক্ষে জবাব দেবার কথা ছিল। কিন্তু তাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয় নি আদালত। সমস্ত খাতা বাজেয়াপ্ত করে আদালতে দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার অফিস আদালত, স্কুল-কলেজ, দোকান-পাট সবই ছিল বন্ধ। রাস্তায়যানবাহন খুব অল্প ছিল । বামপন্থী ছাত্রযুব সংগঠনগুলো হরতালের বিরোধীতা করলেও শুক্রবার হরতালের বিরুধীতায় মাঠে নামেনি কেউই।

রাজধানী আগরতলার বেশ কিছুস্থানে কংগ্রেস কর্মীসমর্থকরা পিকেটিং এর পাশাপাশি অফিস প্রবেশ করতে কর্মচারীদের বাধা দেয়। মহাকরণে মন্ত্রীদের বেশীর ভাগই ছিলেন গড়হাজির।


মুখ্যসচিব কাজে যোগ দিতে চাইলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদীপ রায় বর্মন করজোড়ে মুখ্যসচিবকে কাজে যোগ না দিতে আহ্বান জানালে ফিরে যান তিনি। একইভাবে গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি তথা জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের ঘটনার বিচারপতি শুভাশিষ তলাপাত্রকেও প্রদেশ সভাপতি হরতাল পালনের আর্জি জানান। বিচারকও প্রদেশ সভাপতির আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিরে যান।

তবে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে জিরানিয়ায়। এদিন সকালে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের হামলার স্বীকার হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স। অন্যদিকে কংগ্রেস ও সিপিআইএম সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে প্রতাপগড় এলাকায়। এখানে দু‘পক্ষের মধ্যে ইট বৃষ্টি হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

বাংলাদেশ সময় : ১৭৫৭ ঘন্টা, জুলাই ১৩, ২০১২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর  
kumar.sarkerbd@gmail.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।