ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভোট গ্রহণ শেষে চবির কলা অনুষদে উত্তেজনা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৪৩, অক্টোবর ১৫, ২০২৫
ভোট গ্রহণ শেষে চবির কলা অনুষদে উত্তেজনা  ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনে এলইডি প্রজেক্টরে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়াকে কেন্দ্র করে কলা অনুষদের সামনে শিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।  

বুধবার (১৫ অক্টোবর) পৌনে ৬টার দিকে নতুন কলা ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, নতুন কলা অনুষদ ভবনের এলইডি প্রজেক্টরটি দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করে।

প্রজেক্টর চালু করার জন্য নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদেরকে বারবার বলার পরও ঠিক করা হয়নি। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা গেটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে।  

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের অর্থ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী কলা অনুষদের এলইডি প্রজেক্টর বন্ধ করে দিয়েছে। তারা কলা অনুষদের ভোটগ্রহণ করা রুমে প্রবেশ করতে চেয়েছে। তারা  নিয়ম লঙ্ঘন করে তালা ভেঙ্গে কলা অনুষদে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিরোধ করে।

এদিকে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বিকেল চারটায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলেও ফলাফল ঘোষণার আগে বিকেলে সোয়া পাঁচটার দিকে বিবিএ অনুষদ এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে থেকেই সেখানে বাগছাস ও শিবির-সমর্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও অনুষদের সামনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হন। তবে নারী শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই ভোট দিয়ে হলে ও নগরে ফিরে গেছেন।

এ সময় অনুষদ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আশেপাশে ছাত্রদল ও শিবির-সমর্থিত কিছু শিক্ষার্থীকেও দেখা গেছে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক খান তালা মাহমুদ রাফি অভিযোগ করেন, ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করে ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন।  

তিনি বলেন, শিবির সারাদিন টেবিল বসিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে, লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে লিফলেট দিয়েছে। প্রশাসনকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

অন্যদিকে, ছাত্রশিবির-সমর্থিত শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।  

চাকসুতে কেন্দ্রীয় সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জোনায়েদ খান রাহাত বলেন, কারা প্রচারণা চালিয়েছে, কারা স্লিপ দিয়েছে—সবাই দেখেছে। বিকালের দিকে ফলাফলের আগ মুহূর্তে হট্টগোল সৃষ্টির জন্যই এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট হয়েছে, তাই জাল ভোট দেওয়ার সুযোগই নেই। যারা হেরে যেতে পারে, তারা ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে।

এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।