চট্টগ্রাম: নগরের চকবাজার থানায় এক যুবককে থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের নেতা–কর্মীদের দফায়-দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত ১২টার দিকে নগরের চকবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিন গুলিবিদ্ধের মধ্যে দুইজন হলেন, জাবেরুল ইসলাম ও আতিক।
জানা গেছে, ছাত্রলীগকর্মী উল্লেখ করে এক যুবককে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ধরে চকবাজার থানায় সোপর্দ করেন। অন্যদিকে তাকে ‘জুলাই যোদ্ধা’উল্লেখ করে থানায় ছাড়াতে যান ছাত্রশিবিরের একদল নেতাকর্মী। এনিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাকর্মীরা উত্তেজনার একপর্যায়ে থানা প্রাঙ্গণে ঢুকে পুলিশের সামনে মারামারি শুরু করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে ধাওয়া পালটা ধাওয়া, সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে থানার দুই পাশে চানমারী রোড থেকে গুলজার মোড় পর্যন্ত এলাকায়। এসময় গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় ছাত্রদল বলেছে, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ছাত্রদলের নেতাদের ওপর হামলা করেছেন।
অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের দাবি, এক জুলাই যোদ্ধাকে থানায় দিয়েছিল ছাত্রদল। এর প্রতিবাদ করলে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা–কর্মীরা মিলে শিবির, শিক্ষার্থী ও পুলিশের ওপর হামলা করেছেন।
তবে কাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছিল, তাঁর নাম দুই পক্ষের কেউ জানায়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগের একজনকে আমাদের নেতাকর্মীরা ধরে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। সে এক সময় আমাদের অনেককে মারধর করেছিল। কিন্তু শিবিরের নেতারা তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় যান। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা হয়।
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরের (উত্তর) প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক বলেন, একজন আহত জুলাই যোদ্ধাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে থানায় দিয়েছে ছাত্রদল। এর প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা থানায় গেলে সেখানে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থী, শিবিরের নেতাকর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল কবির বলেন, আমরা দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এমআই/পিডি/টিসি