ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আদালতে রিট করেও পরিষদে আসছেন না সীতাকুণ্ডের ইউপি চেয়ারম্যানরা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪৯, জুলাই ১৪, ২০২৫
আদালতে রিট করেও পরিষদে আসছেন না সীতাকুণ্ডের ইউপি চেয়ারম্যানরা 

চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পালিয়ে গেছেন। পরিষদে না আসায় জনগণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত এবং এ চেয়ারম্যানদেরকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন উপজেলার ৯ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

শনিবার (১২ জুলাই) বিকালে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন।  

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ৫ আগষ্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ চেয়ারম্যানরা নিজেদের অপকর্মের কারণে পালিয়ে থেকে জনগণকে সেবা থেকে বঞ্চিত করেছে। জনগণ কোনো সেবা পাচ্ছে না- জন্ম-মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র, সরকারি ভাতার যাচাই-বাছাই বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প, রাস্তাঘাট মেরামত, ত্রাণ বিতরণ, ভিজিডি/ভিজিএফ কার্ড বিতরণ সব অচল হয়ে পড়েছে। গরীব মানুষ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রার্থী- সবার ন্যায্য অধিকার থমকে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জনগণ তালা ঝুলতে দেখে ফিরে আসছে। একটি নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থার প্রধান শর্ত হলো জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতা। কিন্তু যাদের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি কিন্তু ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসন শাসনের আমলে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান পদ দখল করার কারণে তারা নিজেরাই জনগণকে ফেলে পালিয়েছে। কিছুদিন আগে তারা পরিষদে আসার জন্য আদালতে রিট করে। আদালত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ রিটকারী চেয়ারম্যানদের পরিষদের আসার নির্দেশ দেওয়ার পরও কোন চেয়ারম্যান অফিসে এসে দায়িত্ব পালন করেনি। অথচ তাদের করা রিটের কারণে প্রশাসনিক বিকল্প ব্যবস্থাও আদালতের নির্দেশে এখন বন্ধ। জনগণ বিভিন্ন ধরনের সেবা থাকে বঞ্চিত।  

এ সময় যেসব চেয়ারম্যান পলাতক বা জেলহাজতে তাদের হলে অস্থায়ী প্রশাসক প্রতিনিধি নিয়োগ করে ইউনিয়নের কাজ চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এব্যাপারে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) আদেশ দেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা হাইকোর্টে রিট করে আমাদের আদেশ স্থগিত করে। পরে জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছি।  

বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।