চট্টগ্রাম: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম ধর্মীয় সম্প্রীতির শহর। এই শহরে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান একসঙ্গে বসবাস করেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে নন্দনকানন শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও গৌর-নিতাই আশ্রম প্রাঙ্গণে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
উদ্বোধক উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক পালিত ও অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু।
সভাপতিত্ব ও পৌরাহিত্য করেন নন্দনকানন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ পণ্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী। উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের সহ সভাপতি অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী, যুগ্ম সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী, সৌরভ প্রিয় পাল, তমাল ধর, কোষাধ্যক্ষ সুবল সখা প্রেম দাস ব্রহ্মচারী, শচী দুলাল প্রেম সাগর দাস ব্রহ্মচারী, অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী, প্রাণকৃষ্ণ দাস, অজিত নরোত্তম দাস, রণবীর মাধব দাস, সদগতি বৈষ্ণব দাস, জগদানন্দ কৃষ্ণ দাস প্রমুখ।
মেয়র বলেন, রথযাত্রা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এখানে এ উৎসব হয়ে আসছে। এবার এমন একটা সময়ে রথযাত্রা উৎসব হচ্ছে, যখন করোনাভাইরাস আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। এখন আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আগত সবাইকে আমি অনুরোধ করব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন রথযাত্রা উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
পরে বেলুন উড়িয়ে মেয়র এবং ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রথযাত্রার উদ্বোধন করেন। নন্দনকানন থেকে রথটি বৌদ্ধমন্দির থেকে চেরাগি পাহাড় হয়ে আন্দরকিল্লা, লালদীঘি ও নিউমার্কেট হয়ে নন্দনকাননে নেওয়া হয়।
নন্দনকানন ছাড়াও নগরে প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, গোলপাহাড় মহাশ্মশান, তুলসীধাম কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটি এবং হাটহাজারী, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন উপজেলায় রথযাত্রা হয়েছে।
এআর/পিডি/টিসি