চট্টগ্রাম: ১৯৯৮ সালে আগ্রাবাদের বক্স কালভার্টটি তৎকালীন সরকার অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করেছিল। কালভার্টটি পরিষ্কার করার জন্য কোনো ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
সোমববার (১৬ জুন) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আগ্রাবাদ এলাকায় বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করে খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। দুপুরেবিদ্যুৎ ভবনের সামনের অংশে এই কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা কমিয়ে আনতে কাজ করছি। সম্প্রতি ১৯০ থেকে ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও আগের তুলনায় জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমেছে। মহান আল্লাহর রহমতে আমরা ইতিবাচক ফল পাচ্ছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১৭টি স্ল্যাবের মধ্যে ৭টি উন্মুক্ত করে পরিষ্কার করা হয়েছে, বাকি ১০টি স্ল্যাবেও কাজ চলমান। প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, বাকিটা শেষ হতে আরও ১৫-২০ দিন লাগবে। জোয়ারের সময় বাধা এলেও আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নৌবাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, সিডিএ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সব সেবা প্রদানকারী সংস্থার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
মেয়র বলেন, চসিক ইতোমধ্যে বেশ কিছু খাল পরিষ্কার করেছে এবং ১৫০টি প্রজেক্টের আওতায় নালা-নর্দমা পরিষ্কারের কাজ করেছে যা এবার নগরের বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশিত করে নগরে জলাবদ্ধতা হতে দেয়নি। সামনে আরও ২০০টি ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে খাল-নালাগুলো পরিষ্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার নালা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
পরিদর্শনকালে সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বক্স কালভার্ট সংস্কার প্রকল্পের পিডি কমান্ডার মো. এনামুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এআর/পিডি/টিসি