চট্টগ্রাম: চলতি মে মাসের শুরু থেকেই একটু একটু বেড়েছে তাপমাত্রা। সোমবার (১৯ মে) চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নগরের তিন পুলের মাথা, রাইফেল ক্লাব, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লোডশেডিং বেড়ে যেতেই ইতোমধ্যেই দোকানগুলোতে বেড়েছে রিচার্জেবল ফ্যান-লাইটের ক্রেতা।
দোকানিরা জানান, সাধারণত বিগত কয়েক বছর গরমের শুরু থেকেই রিচার্জেবল লাইট-ফ্যানের বিক্রি বেড়ে যায়। এখন রিচার্জেবল ফ্যানে লাইটও থাকে। তাই কম্বো হিসেবে এ ধরনের আইটেম বেশি কেনেন ক্রেতারা।
তারা জানান, রিচার্জেবল ফ্যানের সাইজ হরেক রকম। সহজে বহন করা যায় এমন মোটামুটি মানের একটা ফ্যান ১৫০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে কম টাকায় পাওয়া যাচ্ছে আরও ছোট আকারের ফ্যান। কেনেডি ও ফাইন্ডার জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ফ্যানগুলো নূন্যতম ২৬০০-৪২০০ এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন সাইজ ও মানভেদে রিচার্জেবল লাইট পাওয়া যাচ্ছে ২০০-২০০০ টাকার মধ্যে। তবে দেশীয় ইলেকট্রনিক পণ্যের শোরুমে রিচার্জেবল ফ্যান-লাইটের দামের সাথে স্থানীয় মার্কেটে বেশ কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
নগরের ইলেকট্রনিক পণ্যের জন্য জনপ্রিয় রাইফেল ক্লাব মার্কেটে রিচার্জেবল ফ্যান কিনতে এসেছেন সদরঘাটের বাসিন্দা রাজীব বড়ুয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যখন লোডশেডিং হয় গরমে ঘরে থাকা কষ্ঠকর। তাই রিচার্জেবল ফ্যান কিনতে এসেছিলাম। দেখেশুনে সাড়ে ৬ হাজার টাকায় একটা কিনলাম। দাম একটু বেশিই মনে হলো।
তবে বিক্রেতা মো. জুনায়েদ বাংলানিউজকে বলেন, রিচার্জেবল ফ্যান-লাইটের এখন চাহিদা। তবে যেগুলো চায়না থেকে আসে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সামান্য বেশি। গত বছরের চেয়ে খুব বেশি বাড়েনি। যারা জেনারেটর বা আইপিএস কিনতে পারছেন না তারাই এসব রিচার্জেবল ফ্যান-লাইটের ক্রেতা। বাজারে এসব পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই।
পিডি/টিসি