ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট, এমন দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন মারুফা আক্তার। কিন্তু সেই শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগে ‘টিকে থাকার লড়াইয়ে’ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করে ১০ উইকেটে ২০২ রান করেছে লঙ্কানরা।
আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে স্বপ্নের শুরু এনে দেন মারুফা। এই ডানহাতি পেসারের ইনসুইঙ্গারে পরাস্ত হন লঙ্কান ওপেনার ভিশ্মি গুনারত্নে। লেগ বিফোরের আবেদন করে বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। পরে রিভিউ দেখে আউট দিলে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট পান মারুফা।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক চামারি পৌঁছে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪ হাজার রানের মাইলফলকে। চামারি ও হাসিনি মিলে ৭২ রানের জুটি গড়েন। প্রথমবার বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান। তার বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরার আগে চামারি ৪৩ বলে ৪৬ রান করেন।
চামারি বিদায় নিলে শ্রীলঙ্কা কিছুটা চাপে পড়ে যায়। ১০০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। কিন্তু হাসিনি একাই টেনে নেন শ্রীলঙ্কাকে। এর মধ্যে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের প্রথম ফিফটি ছোঁয়ার পথে ওয়ানডেতে ১ হাজারি ক্লাবে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর তার ব্যক্তিগত ৬৩ রানের সময় তার ক্যাচ ফেলে দেন রুবাইয়া হায়দার।
‘জীবন’ পাওয়া হাসিনি পরে নিলাকশি ডি সিলভার সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে ১৮০-এর কাছাকাছি নিয়ে যান। তাদের জুটিতে আসে ৭৪ রান। ৩৮ বলে ৩৭ রান করা নিলাকশিকে বিদায় করেন স্বর্ণা আক্তার। টানা ৩ ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। হাসিনি শেষ পর্যন্ত ৩৬তম ওভারে স্বর্ণার বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৯৯ বলে ৮৫ রান।
১৮২ রানে হাসিনার উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা পরে কোনোমতে ২০০ পার হয়। শেষদিকে রানই নিতে পারেনি তারা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাদের আটকে রাখেন বাংলাদেশের বোলাররা।
এমএইচএম