বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাঠামোগত দুর্বলতাই দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। তার মতে, বোর্ডের পরিচালকরা যখন বেতন ছাড়া নির্বাহী দায়িত্ব পালন করেন, তখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই দুর্নীতির ঝুঁকি তৈরি হয়।
সম্প্রতি 'ক্রিকবাজ'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বোর্ড সভাপতি বুলবুল ভাই (আমিনুল ইসলাম) জানিয়েছেন যে বোর্ডের অর্গানোগ্রাম তৈরির কাজ প্রায় শেষ। সেটি অনুমোদন পেলে কার্যক্রমে আরও শৃঙ্খলা আসবে। বর্তমানে পরিচালকরা অবৈতনিক পদে থেকেও নির্বাহী দায়িত্ব পালন করছেন, যা থেকে দুর্নীতির মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। ’
তিনি বিসিবির পেশাদার ব্যবস্থাপনার অভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার মতে, ‘বিসিবি শত কোটি টাকার একটি সংস্থা, অথচ সেখানে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা বা জেনারেল ম্যানেজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পেশাদার পদ নেই। এসব পদ সৃষ্টি হলে অনেক সমস্যারই সমাধান হবে। ’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘যে পরিচালক প্রতিদিন বোর্ডে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা সময় দিচ্ছেন কিন্তু কোনো আর্থিক প্রতিদান পাচ্ছেন না, তার জন্য বিষয়টি কঠিন। একারণেই আমি প্রস্তাব দিয়েছি, যারা নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হোক। ’
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বুলবুল ভাই আইসিসির ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে দেশের ক্রিকেটের জন্য এসেছেন। এখন তাকে নিজের জমি বিক্রি করে চলতে হচ্ছে। এমনটা হওয়া উচিত নয়। ’
বুলবুলকে দ্বিতীয় মেয়াদে সমর্থনের বিষয়টি তার কর্মদক্ষতার ওপর নির্ভরশীল বলে জানান আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তার কাজ পর্যবেক্ষণ করছি। বিশেষ করে ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণে তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। ’
সরকার পরিবর্তন হলে বোর্ড ভেঙে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন হলেও বিসিবিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। বোর্ড চলবে তার নিজস্ব সংবিধান ও আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী। ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতির বাইরে রাখাটাই পরিপক্বতার লক্ষণ। ’
এফবি/এমএইচএম