বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় জ্বালানি ও লুব্রিকেন্ট কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি, গুলশানের মবিল হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের ২০২৪ সালের টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস এবং কার্যক্রমের দক্ষতা বাড়াতে কোম্পানির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন নীতির প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী। এ ছাড়া পরিচালক তানজিল চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন ও অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রকাশনার আগে কোম্পানিটি একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছে: সম্প্রতি ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিংয়ে শীর্ষ ১১টি বাংলাদেশি কোম্পানির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এই স্বীকৃতি পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসনের ক্ষেত্রে তাদের অবিচল প্রতিশ্রুতিরই প্রমাণ।
আজম জে চৌধুরী বলেন, আমাদের ২০২৪ সালের টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদনটি কেবল একটি নথি নয়; এটি আমাদের দায়িত্বশীলতা এবং অংশীজনদের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিংয়ে আমাদের ইতিবাচক অবস্থান শক্তিশালী সুশাসনের প্রতি আমাদের নিষ্ঠাকে আরও জোরদার করে, যার মধ্যে রয়েছে করপোরেট স্বচ্ছতা, নৈতিক অনুশীলন ও বৈশ্বিক মানদণ্ড মেনে চলা। আমরা একটি টেকসই পরিবেশ, স্বাস্থ্য ঝুঁকির সক্রিয় ব্যবস্থাপনা ও নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সিনিয়র জিএম মো. শাহিন আলম ২০২৪ সালের টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদনের প্রধান উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে-
• পরিবেশগত দায়িত্বশীলতা: গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং সম্পদের ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা।
• সামাজিক দায়বদ্ধতা: স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মকানুন এবং নারীদের নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
• করপোরেট সুশাসন: সর্বোচ্চ স্তরের স্বচ্ছতা ও নৈতিক অনুশীলন বজায় রাখা।
আরবি