এবারের মৌসুমের মাঠের বাইরের অভিজ্ঞতা সুখকর নয় বসুন্ধরা কিংসের জন্য। আজকের দিনেও যাদের আলোচনা-সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল তারা জবাব দিলো মাঠের খেলায়।
একই দিনে বিকেলে ঘরের মাঠে এএফসি চ্যালেঞ্জ লীগের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশের আরেক ক্লাব আবাহনী। কিরগিস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-০ গোলের হেরে বিদায় নিয়েছে তারা।
খেলার শুরুর দিকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মাঠে নামে কিংস। তৃতীয় মিনিটেই গোলের সম্ভাবনা তৈরি হয় ডরিয়েলটনের ব্যর্থ বাইসাইকেল কিকে। তবে ষষ্ঠ মিনিটে সুযোগটি আর হাতছাড়া করেনি কিংস। মঙ্গলবার রাতে কাতারের দোহার সুহেইম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে একমাত্র গোলটি আসে ষষ্ঠ মিনিটেই। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে শট নেন তপু বর্মন। জটলার মধ্যে ফিরতি বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন সানডে।
এরপর একের পর এক আক্রমণে ম্যাচে প্রাধান্য দেখায় কিংস। বিশেষ করে গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবনের অসাধারণ সেভ বারবার রক্ষা করেছে দলকে। প্রথমার্ধে আল কারামাহ একাধিকবার গোলের সুযোগ পেলেও সফল হয়নি কিংসের রক্ষণ ও গোলরক্ষকের দৃঢ়তায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৯ মিনিটে সোহেল রানার পরিবর্তে মাঠে নামেন এই মৌসুমে আবাহনী থেকে আসা মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়। ৬৫ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত সেই মুহূর্ত, সান্ডারল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার কিউবা মিচেল অভিষেক ম্যাচে নামেন কিংসের জার্সিতে।
ম্যাচের শেষভাগে আল কারামাহ সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বিশেষ করে ৮০ মিনিটে জাকারিয়ার হেডে গোল নিশ্চিত মনে হলেও, দুর্দান্ত ফিস্টে সেভ করেন শ্রাবন। শেষদিকে রাকিব হোসেন এবং কিউবার দুর্দান্ত প্রচেষ্টা প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়ালেও ব্যবধান আর বাড়েনি।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস নিশ্চিত করেছে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্বে বাংলাদেশের একমাত্র ক্লাব হিসেবে অংশগ্রহণ যা শুরু হবে ২৫ অক্টোবর থেকে।
এআর