গত শনিবার সকাল ১১টা ছুঁই ছুঁই। পাবনা পৌরসভার লাইব্রেরি বাজার এলাকায় রিকশার অপেক্ষায় কামরুন নাহার ও আকলিমা বেগম।
সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীকে হারিয়েছেন। আকলিমা বেগমের স্বামী আছেন না থাকার মতোই। দ্বিতীয় সংসার পেতেছেন। খোঁজ নেন কালেভদ্রে।
এই দুই নারীর সংসারে অভাব-অনটনের সীমা নেই। কোথাও একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন, খুঁজছেন বেঁচে থাকার একটি হাতিয়ার। সেদিন কামরুন নাহার আর আকলিমা বেগমের মতো আরো ৯৮ জন নারী এসেছেন পাবনা সদরের আলহাজ আহেদ আলী বিশ্বাস স্কুল অ্যান্ড কলেজে। বসুন্ধরা শুভসংঘ সেদিন বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় পাবনার অতিদরিদ্র ১০০ নারীর হাতে একটি করে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছে।
সবাই জীবনে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন। তাঁরা সবাই সাহসী। এই সাহসী নারীদের জীবনযুদ্ধে পাশে থাকবে বসুন্ধরা গ্রুপ।
সকাল ১১টা বাজতে বাজতেই দুই বাংলার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন চলে এলেন আহেদ আলী বিশ্বাস স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এরপর পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের সঙ্গে বাকি অতিথিরাও চলে আসেন।
পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন মাইক হাতে নিয়ে প্রোগ্রামের উদ্বোধনী বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন শুভসংঘের প্রতিষ্ঠাতা, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলনকে। ইমদাদুল হক মিলনের পর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ সারা দেশেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান করে। কখনো সেলাই মেশিন বিতরণ, কখনো গরু-ছাগল বিতরণ করে। পাবনায়ও আজকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ নিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আজকে যাঁদের সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে, তাঁরা এই মেশিনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হবেন, তাঁদের পরিবারের চালিকাশক্তি বৃদ্ধি পাবে। সমাজের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী মানুষ যদি পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এগিয়ে আসেন, তাহলেই সমাজ এগিয়ে যাবে। ’
এরপর বক্তব্য দেন পাবনা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আশরাফ প্রামাণিক, সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ পাবনার সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু, সূচনা সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পূর্ণিমা ইসলাম, আলহাজ আহেদ আলী বিশ্বাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান রয়েল বিশ্বাস, পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও শহীদ সরকারি বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. বাহেজ উদ্দিন। এর মধ্যে কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনকে ভিডিও কলে ফোন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। তিনি আহেদ আলী বিশ্বাস মানবকল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপকে পাবনায় সেলাই মেশিন বিতরণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
অতিথিদের বক্তব্যের পর সেলাই মেশিন বিতরণের পালা আসে। এক নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিয়ে বিতরণ পর্বের উদ্বোধন করেন ইমদাদুল হক মিলন, আখতারুজ্জামান আখতার, জহুরুল ইসলাম, আখিনুর রহমান রেমন ও হাফিজুর রহমান রয়েল বিশ্বাস। এরপর এক এক করে সবার হাতে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়।
শুভসংঘের সেলাই মেশিন হাতে পেয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে সাধুপাড়া এলাকার বিধবা মোসাম্মৎ শেফালি বলেন, ‘এই সেলাই মেশিন পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমার স্বামী নেই, আমার কোনো ছেলে নেই, তিনটা মেয়ে আছে ঘরে। অনেক কষ্ট করে মেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি। মেয়েদের পরীক্ষার ফি পর্যন্ত দেওয়ার মতো আমার অবস্থা ছিল না। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে এসে ফি মওকুফ করিয়ে নিতাম। আজকে এই সেলাই মেশিন পাওয়ার মাধ্যমে আমার অনেক উপকার হবে। আমি আপনাদের এই ঋণ কোনো দিনও শোধ করতে পারব না। ’
পাবনা পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিলুফা ইয়াসমিন নীলা সেলাই মেশিন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এই সেলাই মেশিন পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। আমার অনেক উপকার হবে। পরিবারে তিনটা ছেলে, স্বামী আর শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে চলতে কষ্ট হয়। এই সেলাই মেশিনের মাধ্যমে আমি দিনে এক-দেড় শ টাকাও যদি আয় করতে পারি, আমি সেটা পরিবারে দিতে পারব। পরিবারটা আমাদের আরেকটু ভালো চলবে। ’
নারীদের অবহেলিত রেখে সমাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়
অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী চেয়ারম্যান, আলহাজ আহেদ আলী বিশ্বাস মানবকল্যাণ ট্রাস্ট (এবি ট্রাস্ট)
স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করে ফেললেও আমাদের দেশে সামাজিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হয়নি। আর্থিকভাবে আমাদের সমাজের নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে। বিশেষ করে গ্রামীণ অসচ্ছল পরিবারের নারীদের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তবে বসুন্ধরা শুভসংঘকে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশের প্রান্তিক নারীদের আর্থিক সক্ষমতা অর্জনে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে।
বিশেষ করে জেলা, উপজেলায় বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ প্রকল্প চোখে পড়ার মতো। দরিদ্র নারীদের তারা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন দিচ্ছে। গরিব ও মেহনতি মানুষের কল্যাণ ও ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের জন্য গঠিত পাবনার আহেদ আলী বিশ্বাস মানবকল্যাণ ট্রাস্টের (এবি ট্রাস্ট) সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘ এ কাজ বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে করেছে। আমি এই উদ্যোগের প্রশংসা করি।
এই সেলাই মেশিন আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীদের এগিয়ে নিতে হবে। নারীদের অবহেলিত রেখে সমাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
নীলার স্বপ্নপূরণ
পাবনা পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিলুফা ইয়াসমিন নীলা। তিন ছেলে, স্বামী আর শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে তাঁর সাত সদস্যের পরিবার। স্বামীর উপার্জন দিয়ে পরিবার চলে না। ছেলেদের মানুষ করা নীলার অনেক বড় স্বপ্ন।
কিন্তু ছেলেদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে। আশায় বুক বেঁধেছিলেন উপার্জনের কোনো একটি পথ যদি বের করা যায়। নিজে কিছু উপার্জন করতে পারলে ছেলেদের পড়াশোনা করানোর স্বপ্নটা পূরণ হবে। অবশেষে নীলার সেই স্বপ্নপূরণে এগিয়ে এলো বসুন্ধরা শুভসংঘ। নীলার হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হলো।
সেলাই মেশিন পেয়ে আনন্দে আপ্লুত নিলুফা ইয়াসমিন নীলা বলেন, ‘ছেলেদের পড়াশোনা করিয়ে ভালো মানুষ করাই ছিল আমার বড় স্বপ্ন, কিন্তু নিজের উপার্জন ছিল না। পরিবারের উপার্জন দিয়ে ছেলেদের পড়াশোনার খরচ দেওয়া যেত না। এখন আমি যদি এই সেলাই মেশিন দিয়ে দিনে কিছু টাকাও আয় করতে পারি, সেটা আমার ছেলেদের পড়াশোনার পেছনে ব্যয় করতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। ’
পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে
মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, পাবনা
বসুন্ধরা শুভসংঘ সারা দেশেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে বিভিন্ন কাজ করে। কখনো সেলাই মেশিন বিতরণ, কখনো গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি বিতরণ করে থাকে। এটি বেশ ভালো উদ্যোগ। আমি তাদের এমন ভালো কাজের প্রশংসা করি।
পাবনায়ও তারা পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক নারীদের মাঝে ১০০ সেলাই মেশিন বিতরণ করেছে। এই সেলাই মেশিন যাঁদের দেওয়া হয়েছে, তাঁরা এই মেশিন দিয়ে উপার্জন করতে পারবেন, যেটা তাঁদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে। আবার পরিবারের সেলাইয়ের কাজগুলোও তাঁরা করতে পারবেন। এতে পরিবারগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বসুন্ধরা শুভসংঘের এমন উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো আমাদের দেশের বিত্তশালীরা যদি এভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এগিয়ে আসেন, তাহলে সমাজ এগিয়ে যাবেই।
সুখের খোঁজে সুমনা
টানাপড়েনের সংসার পাবনার শালগাড়িয়ার সুমনা খাতুনের। বিয়ের পর থেকে সুখ কী জিনিস, সেটি দেখার সুযোগ হয়নি তাঁর। স্বামীর ছোট একটি দোকান আছে। সেটি দিয়েই শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে টেনেটুনে পরিবার চলছে।
অভাব তাঁদের পরিবারের নিত্যসঙ্গী। সব সময় নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়া সেলাই মেশিন পেয়ে সেদিন আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন তিনি। আনন্দিত সুমনাকে দেখে মনে হলো, সুখের সন্ধান পেয়েছেন তিনি।
অভাবের পরিবারে এই আনন্দ কতক্ষণ থাকবে, সুমনা সেটি জানেন না। তবে নিজে কিছু একটা করার সুযোগ পেয়েছেন এবার এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে দোকান আছে ওটা দিয়ে পরিবার চলে না। এখন আমি কিছু করতে পারব। নিজে জামাকাপড় সেলাই করে সেটা দিয়ে উপার্জন করতে পারব। যা আয় হবে, সেটা সংসারের কাজে ব্যয় করতে পারব। নিজের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য কিছু হলেও করতে পারব। ’
বসুন্ধরা শুভসংঘের কাজ ঈর্ষণীয়
আখতারুজ্জামান আখতার, সভাপতি, পাবনা প্রেস ক্লাব
বসুন্ধরা শুভসংঘ সারা দেশে অনেক জনহিতকর কাজ করে যাচ্ছে। পাবনায়ই বসুন্ধরা শুভসংঘের অনেকগুলো কাজ আছে। আমরা শুভসংঘকে পাঠাগার করতে দেখেছি, প্রতিবন্ধীদের দোকান করে দিতে দেখেছি, পাবনার প্রান্তিক গ্রামে শুভসংঘকে স্কুল করে দিতে দেখেছি। এখন আবার ১০০ নারীকে সেলাই মেশিন দিয়েছে।
আমাদের দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য বিত্তবানরা যদি সব সময় এগিয়ে আসতেন, তাহলে সমাজ এত পিছিয়ে পড়ত না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য বিত্তবানরা সব সময় এগিয়ে আসেন না। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এই কাজের ধারা অব্যাহত রাখুক। দোয়া ও শুভ কামনা।
নারীদের জীবনসংগ্রামে জয়ী হতে পাশে থাকবে বসুন্ধরা
অধ্যাপক মো. বাহেজ উদ্দিন, অধ্যক্ষ, শহীদ সরকারি বুলবুল কলেজ, পাবনা
অসচ্ছল নারীদের মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বসুন্ধরা শুভসংঘ সাধারণ মানুষের জন্য দেশের সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছে। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষের ভাগ্য কিভাবে পরিবর্তন করা যায়, সেই চেষ্টা শুভসংঘ করে যাচ্ছে। সেলাই মেশিন প্রান্তিক নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার হতে পারে।
আমাদের দেশের নারীরা দরিদ্র নয়, তারা সাহসী। তাদের সাহসিকতার জন্যই সমাজ টিকে আছে। আমাদের দেশের নারীরা চেষ্টা করলে জীবনসংগ্রামে জয়ী হতে সক্ষম। আমি বিশ্বাস করি, যারা এই সেলাই মেশিন পেয়েছে, তারাও জীবনসংগ্রামে জয়ী হবে। আর তাদের পাশে থাকবে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ।
সারা দেশে মানবিক কাজ করে বসুন্ধরা শুভসংঘ
জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, পাবনা প্রেস ক্লাব
বসুন্ধরা শুভসংঘ বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলনের হাতে গড়া একটি প্রতিষ্ঠান। শুভ কাজে সবার পাশে থাকার জন্য সংগঠনটি সারা দেশে মানবিক কাজ করে যাচ্ছে। পাবনায় যে লক্ষ্য নিয়ে ১০০ নারীর হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়েছে, সেই লক্ষ্য যেন বাস্তবায়ন হয়। এই সেলাই মেশিন দিয়ে যেন পরিবারগুলো উপকৃত হতে পারে, ওই পরিবারগুলোর ছেলেমেয়েরা যেন স্কুলে যেতে পারে, পরিবারের কাউকে যেন না খেয়ে থাকতে হয়, আমি সেই আশাবাদটুকু সবার কাছে রাখব।
একটি সেলাই মেশিন যে সমাজ পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার, সেই প্রমাণ যাতে আমি পাবনাবাসীর কাছে পাই, তাহলে বসুন্ধরা শুভসংঘের এই কাজ করা সার্থক হবে।
নারীর অর্থনৈতিক মুক্তিতে ভূমিকা রাখবে
আঁখিনুর ইসলাম রেমন, বার্তা সম্পাদক, দৈনিক ইছামতি, পাবনা
নারীর সামাজিক ক্ষমতায়নে এবং আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য একেকটি সেলাই মেশিন তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় শত শত নারীকে এভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এটি আমাদের চলমান সামাজিক অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। এরই ধারাবাহিকতায় পাবনায় এবি ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় বসুন্ধরা শুভসংঘ ১০০ জন নারীকে যে সেলাই মেশিন বিতরণ করল, তা তাদের সাংসারিক কাজের সহযোগিতাসহ নিজেদের আয়ের সুযোগ তৈরি করবে।
তাদের সংসারে কিছুটা হলেও সচ্ছলতা আসবে। বসুন্ধরা শুভসংঘের এমন ভালো কাজের ধারা যেন অব্যাহত থাকে, এই প্রত্যাশা করছি।
এমজেএফ