ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

বৃষ্টিতে আটকে পড়া ক্ষুধার্ত শমসুর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১৬, জুন ৪, ২০২৫
বৃষ্টিতে আটকে পড়া ক্ষুধার্ত শমসুর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

হাট-বাজার ও মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে টাকা চেয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে সংসার চলে শমসুর (৫৭)।  

টানা বর্ষণে বেশ কয়েকদিন ঘর থেকে বের হতে পরেননি তিনি।

ঘরে সামান্য যা খাদ্য ছিল, সব শেষ হয়ে গেছে। ঘরে ছোট বাচ্চা, বউ, বাচ্চা আর মাকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন তিনি। তার অসহায়ত্বের খবর পৌঁছে যায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যদের কাছে।

শমসু বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়ন সৈয়দপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড হাকিম আলী মিস্ত্রি বাড়ির আবু জাফরের ছেলে।  

তার ঘরে গিয়ে দেখা যায় বাচ্চা, বউ আর মাকে নিয়ে দুঃখে দিন কাটছে। ঘরটিও জরাজীর্ণ।  

তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টানা বৃষ্টির কারণে প্রায় সাতদিন ধরে ঘর থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ফলে ঘরে সামান্য যা খাবার ছিল, সব শেষ। এখন কেউ দিলে তাহলে সে এবং তার পরিবার খেতে পারবে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও কাঁচাবাজার ইত্যাদি নিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বসুন্ধরা শুভসংঘ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে তার হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- আবদুল হাকিম, আবুল খায়ের, বাঁচা মিয়া, মো. মোরশেদ, মো. ইয়াছিন, মো. শফিক, মো. মোতালেব, এস.এম মাইন উদ্দীন রাব্বি, মো. আফিফ চৌধুরী, মো. নিহালসহ অনেকে।

স্থানীয়রা বলেন, শামসুর দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। কষ্ট করে বড় মেয়ের বিয়ে দিলেও মেঝ মেয়ে অন্যের বাড়িতে থাকে। তবে ছেলে কামরুল হাসান রাফির বয়স মাত্র পাঁচ বছর। তাই উপার্জন করার মতো শামসু ছাড়া আর কেউ নেই পরিবারে। জরাজীর্ণ শরীর বিধায় কাজ কর্মও করতে পারেন না। তাই গ্রামে গ্রামে, হাট-বাজারে ঘুরে যা টাকা পান, তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালান। তবে বৃষ্টির কারণে বের হতে না পারায় তার বেশ কষ্ট হয়ে গেছে।  

তিনি বলেন, কষ্টের এমন সময় বসুন্ধরা শুভসংঘ পাশে দাঁড়িয়েছে দেখে সত্যিই খুশি লাগছে। এ সংগঠন যেন মানুষের অভাব ঘোচাতে পারে, সে কামনা করছি।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।