বগুড়া: বগুড়ায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিস কক্ষে ক্যাশিয়ার ইকবাল হোসেনকে (২৬) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি শহরের দত্তবাড়ী এলাকার ওই ফিলিং স্টেশনেরই ক্যাশিয়ার।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে ফিলিং স্টেশনের সেলসম্যান রতন হোসেন (২৩) পলাতক। পুলিশের ধারণা, এ হত্যাকাণ্ডে রতন জড়িত।
নিহত ইকবাল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুল বাড়িয়া বাজার এলকার আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকায় বিয়ে করে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
গত তিন বছর ধরে ইকবাল হোসেন শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে চাকরি করতেন। পলাতক রতন এক বছর ধরে সেখানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। রতন বগুড়া শহরতলীর নিশ্চিতপুর এলাকার চান মিয়ার ছেলে।
বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি পুলিশ ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আলমাস আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১১টায় এক কর্মচারী সারাদিন তেল বিক্রির সব টাকা নিয়ে যান। রাত ১১টা থেকে ফিলিং স্টেশনে দায়িত্বে ছিলেন ইকবাল হোসেন ও রতন হোসেন। রোববার সকাল ৮টার দিকে দিনের শিফটের কর্মচারীরা গিয়ে দেখেন, অফিসের দরজা খোলা ক্যাশ কাউন্টারের টেবিলে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় ইকবালের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে রাতে ইকবালের সঙ্গে দায়িত্বে থাকা সেলসম্যান রতন হোসেন পলাতক।
থানা পুলিশ ছাড়াও সিআইডি ও পিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ধারণা করছে, পূর্ব কোনো বিরোধের জের ধরে রতন এবং তার সহযোগীরা ইকবাল হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করেছে। ইকবাল হোসেনের মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি।
এসআই