ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে আ.লীগ: রিজভী

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪১, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৫
দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে আ.লীগ: রিজভী বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

নবাবগঞ্জ (ঢাকা): বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।  

তিনি বলেছেন, এবার আমরা স্বতঃস্ফূর্ত ভোট দিতে চাই।

জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

বুধবার ( ৩ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে ঢাকার দোহার উপজেলায় কালেমা চত্বরে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে ভোটে অভ্যস্থ সেভাবেই ভোট দেব। সরাসরি ভোট হবে না আনুপাতিক ভোট হবে সেটা অনেকেই  বুঝে না। জনগণ জানেই না আনুপাতিকের অর্থ কি? আমরা এতসব বুঝি না। শেখ হাসিনা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল । ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যেতে আগ্রহ হারিয়েছিলেন। আমরা সেই ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।

তিনি বলেন, এই ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাককে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট হওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তছনছ করা হয়েছিল গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার।

রিজভী আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পরিবার বার বার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। হাসিনার বাবা বাকশাল কায়েম করেছে। সেখান থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এ কারণেই তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তমিজ উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি জুয়েল মোল্লা, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাসেম বেপারী প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে জয়পাড়া কালেমা চত্বর থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জয়পাড়া থানার মোড় হতে করমআলীর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।