ঢাকা, বুধবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

সালথায় বিএনপি নেতার বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০৭, আগস্ট ২৭, ২০২৫
সালথায় বিএনপি নেতার বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ বাড়িঘর ভাঙচুর

ফরিদপুরের সালথায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মো. জাহিদ ফকির (৭০) নামে বিএনপির এক নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বুধবার (২৭ আগস্ট) ভোর রাতে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের ভরপাড়ায় জাহিদের বাড়িতে এ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

 

জাহিদ ফকির বল্লভদী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় জাহিদের পরিবারের পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বিএনপি নেতা জাহিদ জানান, প্রতিবেশী কাউছার কাজীর সঙ্গে জমি নিয়ে আমার বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে সালিশ দরবার হয়েছে এবং আমার পক্ষেই সালিশ রায় দিয়েছে। হঠাৎ করে কাউছার কাজীর ভাই হাসান কাজী কাউকে না জানিয়ে জমির সীমানা নির্ধারণ করেন। বাড়িতে আমাদের তেমন কেউ থাকেন না। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত আড়াইটা-৩টার দিকে কাউছার কাজীর ভাই হাসান কাজীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল আমার বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। ভাঙচুরের শব্দ পেয়ে আমরা এগিয়ে গেলে ওরা আমাদের ওপর হামলা করে।  

তিনি বলেন, হামলায় আমি, আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬০), আমার ছোট ভাই শাহিদুর রহমান (৬০), ভাতিজা বদিউর রহমান (৩৫), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিপা বেগম আহত হয়। আমার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর। হামলাকারীরা আমার চারটি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য, মৌসুমি ফসলসহ দামি মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় ও ভাঙচুর করে। আমার ঘরে থাকা প্রায় শত বছরের পুরোনো একটি সিন্দুক রয়েছে। সেখানে পাঁচটি পরিবারের দামি গহনা ও নগদ অর্থ ছিল। হামলাকারীরা সিন্দুকের তালা ভেঙে সব নিয়ে যায়। পাকা টয়লেট, গাছপালা কোনো কিছুই ওদের হাত থেকে রক্ষা পায় নাই।

এ বিষয়ে জানতে কাউছার কাজী ও হাসান কাজীর বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। কাউছার কাজী প্রবাসে থাকেন এবং তার ভাই হাসান কাজী পলাতক রয়েছেন বলে প্রতিবেশীরা জানান। হাসান কাজীর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে তাদের ঝামেলা ছিল। হামলার খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।