খুলনা: খুলনার এসওএস শিশু পল্লীতে শেখ জাদী ইসরাত জাহান (১৬) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে ঝুলতে দেখা যায়।
তবে পরিবারের দাবি, ইসরাত জাহান আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মামা সোনাডাঙ্গা আলামিন গলির বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে বলেন, আমার ভাগ্নীর মা নেই। মাত্র ১৬ মাস বয়সে ওকে এসওএস শিশু পল্লীতে দেওয়া হয়। আমার ভাগ্নি অনেক হাসিখুশি ছিল, মেধাবীও ছিল। ও আত্মহত্যা করতে পারে না। আর যদি করে থাকে তাহলে ঝুলন্ত অবস্থায় আমাদের ডাকলো না কেন? পুলিশ বা আমাদের কাউকে না জানিয়ে কেন ঝুলন্ত মরদেহ নামালো। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কেন ডাকলো। কী দিয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে তার কোনো প্রমাণ নেই। হাসপাতালের মর্গে নেওয়ার পর কেন ডাকা হলো? এখানে এসে দেখি মরদেহে বরফ দেওয়া, আত্মহত্যার কোনো নমুনা নেই। মারা যাওয়ার পর কি আরও ২-৩ ঘণ্টা মরদেহ রাখা যেতো না। কেন বরফ দেওয়া হলো?
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, এসওএস শিশু পল্লীতে ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। মরদেহের ময়নাতদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এসওএস শিশু পল্লীর প্রধান বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলের সাথে শেখ জাদী ইসরাত জাহানের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এমআরএম