গাইবান্ধা: সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের রাইফেল ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে বাধা দেওয়ায় এসআইকে ছুরি মেরে পালানো যুবকের লাশ মিলেছে পুকুরে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে সাঘাটা থানা চত্বর থেকে যুবকটি দৌড়ে পালিয়ে থানার পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কচুরিপানায় ভর্তি পুকুরটিতে তার লাশ পান।
যুবকটি মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন। তার পরিচয় এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পকেটে পাওয়া গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি প্রবেশপত্র থেকে জানা গেছে, তার নাম সাজু মিয়া, বাবা দুলাল মিয়া ও মা রিক্তা বেগম। প্রবেশপত্রের তথ্য ও ছবি মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে স্থানীয় একটি বিরোধ মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষ থানায় উপস্থিত ছিল। এসময় শার্ট-প্যান্ট পরা ২৫-৩০ বছর বয়সী এক যুবক থানার ভেতরে ঘোরাঘুরি করছিলেন। হঠাৎ করে তিনি ডিউটিতে থাকা কনস্টেবল সেরাজুল ইসলামের ঘাড়ে ঝুলন্ত রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এসআই মহসিন আলী বিষয়টি লক্ষ্য করে বাধা দিতে গেলে যুবকটি তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ ধাওয়া করলে তিনি ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেন। একপর্যায়ে তিনি থানার পাশের সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেন। পরদিন তার লাশ পাওয়া গেল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান বলেন, ওই যুবক দুপুর থেকেই থানায় ঘোরাঘুরি করছিলেন এবং পুলিশ ও থানায় আসা লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন। পরে হঠাৎ তিনি রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিতে গেলে এসআই মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, যুবকটি মানসিক ভারসাম্যহীন। পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার পর হয়তো অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যান তিনি। পরদিন তার লাশ পাওয়া গেল।
এসআই