ঢাকা, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুলাই ২০২৫, ২০ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

কলেজ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০৩, জুলাই ১৫, ২০২৫
কলেজ অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের মানচিত্র

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ঘোনা কুচিয়ামারা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শামীম হাসানের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জেলা প্রশাসক ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক।

কলেজের দায়িত্ব নিতে গেলে তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।  

অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কলেজের তৎকালীন সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়েই অধ্যক্ষ পদ থেকে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকরির শর্তাবলী রেজুলেশন-২০১৯ মোতাবেক সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ ৬০ দিন পার হওয়ার পর পূর্ণ বেতন দেওয়ার বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী আমি পূর্ণ বেতন পেতে থাকি এবং আমার অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানে কোনো বাধা থাকে না।  

এ অবস্থায় গত রোববার (১৩ জুলাই) আমি কলেজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শামীম হাসান প্রধান ফটকে তালা দিয়ে রাখেন। সোমবার (১৪ জুলাই) আবারও কলেজে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শামীম হাসানের লোকজন বাধা দেন। এ সময় তাঁতীদলের সভাপতি মঞ্জু সরাসরি আমাকে মারধর করেন।  

তিনি আরও বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি স্বীকৃত বিষয় সমূহের শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু শামীম হাসান ব্যবস্থাপনা বিষয়ের (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত নয়) সহকারী অধ্যাপক হয়েও বেআইনিভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করেছেন।  

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামীম হাসান বলেন, এর আগেও যখন অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে আব্দুল খালেক এসেছিলেন তখন স্থানীয়রা বাধা দিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি সোমবার আবারও স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করেছেন বলে শুনতে পেরেছি। আমি ভেতরে ছিলাম বাইরে কি হয়েছে জানি না। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটে নাই।  

কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আরজ আলী বলেন, কলেজে দুই অধ্যক্ষের পদ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, লিখিত অভিযোগটা এখনো আমি পাইনি। শুনেছি আজকে বিকেলে করেছে। ওই কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। ওখানকার সভাপতিও বেসরকারি এক ব্যক্তি। অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তার স্ত্রী আমাকে জানানোর পর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে মীমাংসার জন্য বলেছি।  

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।