ঢাকা, সোমবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার

তিনদিনের রিমান্ডে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ৮ আসামি কারাগারে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২১, জুলাই ১৩, ২০২৫
তিনদিনের রিমান্ডে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ৮ আসামি কারাগারে  আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়িতে দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আটজনের তিনদিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।  

রিমান্ড শেষে রোববার (১৩ জুলাই) কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হকের আদালতে আট আসামিকে হাজির করা হলে বিচারক সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৫৫), রবিউল আওয়াল (৫৫), আতিকুর রহমান (৪২), মো. বায়েজ মাস্টার (৪৩), দুলাল (৪৫), আকাশ (২৪), মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।

এসআই নয়ন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আলোচিত মুরাদনগরের কড়ইবাড়িতে দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ৮ আসামির গত ৭ জুলাই বিকেলে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ৯ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি শেষে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক প্রত্যেক আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। রোববার সকালে তিনদিনের রিমান্ড শেষ হলে তাদের আদালতে উঠানো হয়। পরে বিচারক মমিনুল হক আসামিদের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।  
   
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ বলেন, তিনদিনের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলাকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তবে তদন্তের স্বার্থে তথ্যগুলো প্রকাশ করা যাবে না। এই মামলায় অভিযুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।    

উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই সকালে উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে মা, মেয়ে ও ছেলেকে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭)।

হত্যার ঘটনায় পর দিন ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নিহত রুবির বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহকে। এরই মধ্যে এ মামলায় মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।