মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভূগর্ভস্থ ১৩০৫ পুরোনো কোল ফেইজের (কয়লা উত্তোলন বা নির্গমন মুখ) মজুত শেষ হওয়ায় সোমবার (২৩ জুন) কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) খান মো. জাফর সাদিক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে খনির ভূগর্ভস্থ ১৩০৫ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়, যা জুন মাস পর্যন্ত চলে। এ সময়ের মধ্যে ওই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন হয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার টন। ওই ফেইজে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য খনির কয়লা উৎপাদন সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মহাব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) বলেন, ১৪০৬ নতুন ফেইজে ওপেন আবকাট নির্মাণ এবং ১৩০৫ পুরোনো ফেইজ থেকে সব যন্ত্রপাতি স্যালভেজ ও যথাযথ মেইনটেন্যান্স করে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল থেকে ১৪০৬ নতুন ফেইজের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা হবে।
মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, ১৪০৬ নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন শেষে চলতি সালের আগস্ট মাসে নতুন ফেইজ থেকে আবারও কয়লা উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ১৪০৬ নতুন ফেইজ থেকে প্রায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখার জন্য আপৎকালীন হিসেবে কয়লা ইয়ার্ডে বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে।
বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ইউনিটটি সচল রয়েছে, যা থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, খনির কয়লা উত্তোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নতুন ফেইজ তৈরি করতে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। দ্রুত উন্নয়নকাজ শেষে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে।
আরএ