ঢাকা, সোমবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৩ জুন ২০২৫, ২৬ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

নরসিংদীতে গুলিতে নিহত ছাত্রদল কর্মীর দাফন সম্পন্ন, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৮, জুন ২২, ২০২৫
নরসিংদীতে গুলিতে নিহত ছাত্রদল কর্মীর দাফন সম্পন্ন, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

নরসিংদী: নরসিংদীর পলাশে বিএনপি ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল হোসেনের (২৬) জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২২ জুন) বিকেলে পলাশ বাসস্ট্যান্ডে তার জানাজা হয়।

এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার পারিবারিক কবরস্থানে ইসমাঈল হোসেনকে দাফন করা হয়।

এর আগে শনিবার (২১ জুন) দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

এদিকে জানাজা শেষে পলাশ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইসমাঈল খুনের দায়ে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের ফাঁসি দাবি এবং তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সাত্তারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পলাশ থানা ফটকে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ঘোড়াশাল পৌরসভার পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন হয়ে আহত হয়। পরে আহত ইসমাইলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল মারা যায়। এ ঘটনায় রোববার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন।

অপর দিকে জুয়েলের পক্ষ থেকে আলম মোল্লাসহ বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ্য করে আরেকটি মামলা করা হয়। এ ঘটনার গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

জেএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।