ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
একই সঙ্গে এ সফর দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানের প্রত্যাশা করছে দলটি।
শুক্রবার (০৫ জুন) সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে এ প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম-মর্যাদাভিত্তিক বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, সৌহার্দ্য বাড়ানো প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে। এক্ষেত্রে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর গুরুত্বপূর্ণ।
‘ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ক্ষুণœ করতে সাম্রাজ্যবাদ ও প্রতিক্রিয়াশীল মহল বেশ আগ্রহী’ উল্লেখ করে সিপিবি নেতারা বলেন, দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান না হওয়ার এই পরিস্থিতিকে মহলটি কাজে লাগাচ্ছে। নয়া উদারবাদী অর্থনৈতিক নীতি চাপিয়ে দিয়ে দুটি দেশকে সাম্রাজ্যবাদী অর্থনৈতিক বলয়ে আটকে রাখার চেষ্টাও জোরদার করা হয়েছে।
‘দুই দেশের সম্পর্ক এই প্রত্যাশিত ধারায় অগ্রসর হওয়াটা কেবল দুই দেশের সরকারের ওপর নির্ভর করে না। এজন্য দুই দেশের জনগণের মধ্যে ‘পিপল টু পিপল’ সহযোগিতা বৃদ্ধি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ,’ যোগ করেন তারা।
সিপিবি নেতারা বলেন, ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির মাধ্যমে স্থল সীমান্ত নির্ধারণ বিষয়ে আইন দীর্ঘ বিলম্বে হলেও এটা শুভ পদক্ষেপ। তবে দু’দেশের মধ্যে এখনও বড় সমস্যা হল অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের ন্যায়সঙ্গত মীমাংসা।
‘তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ্যে ঘোষণার পরও ভারতের দিক থেকে তা কয়েক দফায় বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এবারও এই চুক্তি স্বাক্ষর হবে না বলে জানানো হয়েছে। মানুষের প্রত্যাশাকে বারবার ভুলুণ্ঠিত করলে সেটা সন্দেহ-অবিশ্বাসের জন্ম দেয় এবং দু’দেশের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে।
সহযোগিতার বিষয়টি একমুখী হয়ে উঠলে তা বন্ধুত্বের পরিবেশকে যথাযথভাবে এগিয়ে নেয় না বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৫
এসকে/এমএ